
বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে গোটা দেশই উত্তাল। আধারকার্ডের বৈধতা নিয়েই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছু সুপ্রিম কোর্টও। এই দিনই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ হল আধারকার্ড কখনই নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র হতে পারে না। কিন্তু এই অবস্থা যেখানে সেখানেই নতুন করে এই কার্ডের জাল হওয়ার খবর পাওয়া গেল। তাও এই রাজ্যেও। মালদায়ে অবৈধভাবে এই কার্ড তৈরি হচ্ছে বলে খবর।
মুম্বাই,রাজস্থান ও তামিলনাডুর আইডি ব্যবহার করে চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে অবৈধভাবে চলত আধারকার্ড তৈরির কাজ ।এমনকি বেশি টাকায় সেই কাজ করা হত। রমরমিয়ে চলত এই চক্র। অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁচল থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,ধৃতরা হল মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদ(৩৫)বাড়ি চাঁচল থানার সূতি গ্রামে।অন্যজন মোহাম্মদ আজম(৪১)বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার উত্তর রামপুরে।
গত ছয়দিন আগে বাড়ি থেকে সূতীর মোস্তফা ওয়াহেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ল্যাপটপ,আইবল স্ক্যানার,কিবোর্ড,প্রিন্টার ও একাধিক আধারের রিসিভ কপি বাজেয়াপ্ত করে।
আদালতের নির্দেশে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের হরিশ্চন্দ্রপুরের মোহাম্মদ আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তার আগেই তার বাড়ির সদস্যরা ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম নিয়ে বেপত্তা রয়েছে। এদিন ধৃত মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদের বাবা জামিল আক্তার দাবি করে বলেন,আমার ছেলে নির্দোষ। ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।তার আরও দাবি,আজমের লোকজন ছেলের সিএসপি সেন্টারের সপ্তাহের দূই থেকে তিনদিন আসত। তারা আধার তৈরি ও সংশোধন সহ একাধিক কাজ করতে।তিন'শো টাকা করে নিলেও ছেলেকে ২৫ টাকা করে দিত।তারাই এই কাজে যোগ। ছেলেকে ফাসানো হয়েছে।অন্যদিকে পুলিশের দাবি,এই চক্রে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।তদন্ত চলছে।বিষয়টি নিয়ে ইউআইডি সেন্টারে জানানো হবে।