
ফের ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ল পুলিশের জালে। তার জালিয়াতির পর্দাফাঁস হতেই হতবাক স্থানীয়রা। এই 'গুণধর' অভিযুক্ত যে কায়দায় জালিয়াতি করেছে তা জেনে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বাংলার বহু চিকিৎসক। অভিযুক্ত ওই ভুয়ো চিকিৎসক উড়িশার এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নকল করে মেডিসিন, সুগার, থাইরয়েড ও নার্ভ বিশেষজ্ঞের পরিচয় দিয়ে প্র্যাকটিস করতেন বলে অভিযোগ। ধরা পড়ে গিয়ে হাত জড়ো করে চিকিৎসা না করার মুচলেখা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন ওই চিকিৎসক । তবে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন বলেই জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, এগরা, হেঁড়িয়া, নরঘাট, তমলুক ও রাধামনিতে বিভিন্ন ওষুধ দোকানে ডাক্তার সি দাস নামে রমরমিয়ে চলছিল ওই অভিযু্ক্ত চিকিৎসকের চেম্বার। অভিযোগ, গত নয়মাস আগে খেজুরি থানার প্রিয়ানগর এলাকার বিহারী লাল সেন নামে এক শিক্ষক ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গিয়েছেন । তার পর থেকেই ওই শিক্ষকের ছেলে ও ছাত্ররা ওই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন চেক করেন। তারপরই আসল ঘটনা সামনে আসে। অভিযোগ, সি দাস উড়িষ্যার চিকিৎসক চন্দন দাসের রেজিস্ট্রেশন নকল করে বিভিন্ন চেম্বারে চিকিৎসা করতেন। অভিযোগ, নিজের নামে কোন ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই ওই চিকিৎসকের। বিষয়টি স্থানীয় বিডিও ও বিএমওএই কে জানানো হয়। মৃত শিক্ষকের ছাত্ররা ওই চিকিৎসকের খোঁজ চালাতে এগরা ,দিঘায় হানা দেয়। পরে জানতে পারে নন্দকুমারের এক ওষুধের দোকানে প্র্যাকটিস করে প্রতি শনিবার। হাতেনাতে ধরতে শনিবার সন্ধায় ওই ডাক্তারের কাছে ছাত্ররা রুগির পরিচয় দিয়ে নাম লেখান। সময় মতো চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসককে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল বলেন দাবি করেন ছাত্ররা। এই কথা চাউর হতেই চিকিৎসা করাতে আসা রুগি ও স্থানীয় মানুষরা চিকিৎসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । চিকিৎসক হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে লিখিত মুচলেখা দেন তিনি আর চিকিৎসা করবেন না । চিকিৎসকের আকুতি না শুনে বিক্ষোভকারীরা ওই ঔষধ দোকান বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ ওই ভুয়ো চিকিৎসককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত পুলিশি জেরায় জানায় তার আসল নাম চন্দন দাস। তিনি নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।