RG Kar Family Reaction: ব্রিটেন সফর সেরে আজই কলকাতায় ফেরার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অক্সফোর্ড বক্তৃতা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবার (RG kar victim family)।
RG Kar Family Reaction: ব্রিটেন সফর সেরে আজই কলকাতায় ফেরার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অক্সফোর্ড বক্তৃতা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবার। আরজি কর ইস্যুতে অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে। আরজি কর ইস্যুতে পোস্টার হাতে প্রতিবাদ করে অনেকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে নির্যাতিতার বিচারও চান বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত হয়ে। কিন্তু আরজি করের নির্যাতিতার বাবা ও মা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
আরজি করের নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছে,সারা পৃথিবী জুড়েই প্রতিবাদ হবে। সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। তিনি আরও বলেন, 'ওনাকে একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যতদিন না বিচার দেবেন ততদিন ওনার নিস্তার নেই। এই মৃত্যুর ঘটনা ওনাকে তাড়া করবে। তিনি যেখানে যেখানে যাবেন সেখানেই... আমরা লড়াইটা করছি। আমরা যে লড়াইটা করছি সেটা জায়গা মতো পৌঁছে দিতে পারলে আরও প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই যে ওনাদের জোকারগিরি যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এগুলো বলা বন্ধ করতে হবে। মুখে বলছেন বিচার চাই, ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআই বিচার করে দিন। আর জজ সাহেব কি ফের তদন্তের নির্দেশ দিতে পরেন যেখানে ট্রায়াল শেষ হয়ে গিয়েছে। এসমস্ত কথা বলা চলবে না। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। বাঙালিরা বিক্ষোভ করেছেন। যাঁদের উনি বলেছেন, দেশে পড়াশুনা করে বিদেশে দিয়ে দেশের বদনাম করেছে।' নির্যতিতার বাবা আরও বলেছেন, সারা দেশের এমনকি পৃথিবীর মানুষও তাদের সঙ্গে রয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার আরও জানিয়েছে ১৩৬টি দেশের প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে মিটিং করেছে। সেখানে তাদের বক্তব্য সকলেই শোনে। তিনি আরও বলেন, গোটা ঘটনা কীভাবে হয়েছিল তাও জানতে চেয়েছে। নির্যাতিতার বাবা আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই জানতেন তিনি লন্ডনে গিয়ে ঝামেলায় পড়বেন। আর সেই কারণে সঙ্গে করে নিজের ব্যান্ডেজের ছবি নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন এভাবে মানুষকে ভুল বোঝান যাবে না।
নির্যাতিতার মা বলেছেন, 'আমরা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। মাননীয় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যে অন্যায় করেছেন আমার মেয়ের যে মৃত্যু ঘটেছে তারই হেফাজতে কারণ আমার মেয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। কাজের জায়গায় ছিলেন, এটা বিশ্বের কেউ মেনে নিতে পারেনি। এর উত্তর তাঁকে দিতেই হবে। যেখানে যাবেন সেখানেই প্রতিবাদের মুখে পড়তে হবে। বাংলা তাঁর নিজের মেয়ের বিচার চায়, বিশ্ব তাঁর মেয়ের বিচার চায়। আমার মেয়ে বিশ্বের মেয়ে হয়ে গেছে। সে মারা গেছে কিন্তু আজ সে বিশ্বের মেয়ে হয়েছে। গোটা বিশ্ব তাঁর মেয়ের বিচার চায়।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।