কালী পুজোর উদ্যক্তাদের কথায় দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রষ্ঠ উৎসব। কিন্তু কালী পুজো বা দীপাবলিও বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই সময় গোটা রাজ্য মেতে ওঠে আলোর উৎসব।
দুর্গাপুজোর মত কালীপুজোতেও সরকারি অনুদান দিতে হবে। অনেকটা এমনই দাবি করল কয়েকটি কালী পুজো কমিটি । শনিবার কলকাতার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল পুলিশ। সেখানেই কয়েকটি কালী পুজো কমিটি সরকারি অনুদানের দাবি জানিয়েছে। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি কালীপুজোতে বিদ্যুৎ বিলেও ছাড়ের আবেদন জানান হয়েছে।
কালী পুজোর উদ্যক্তাদের কথায় দুর্গা পুজো বাঙালির শ্রষ্ঠ উৎসব। কিন্তু কালী পুজো বা দীপাবলিও বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই সময় গোটা রাজ্য মেতে ওঠে আলোর উৎসব। সেই কারণেই কালীপুজোতেও সরকারি অনুদানের আবেদন জানান হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের কথায় আলোর উৎসবে বিদ্যুৎ বিলে ছাড়াও চাওয়া হয়েছে। এই কলকাতার বিখ্যাত কালী পুজোগুলির একটি হল 'ফাটাকেষ্টর পুজো'। উদ্যোক্তা যুবক সংঘের সম্পাদক সুকৃতি দত্ত বলেন, 'বৈঠকে নগরপালের সামনে আমরা ছোট পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার আবেদন জনিয়েছি। বিদ্যুৎ বিলে ছাড় পাওয়ারও আর্জি জানিয়েছি।' বৈঠকে ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তিনি বলেন, এই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
কালী পুজো ও দীপাবলির অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে করতে বৈঠকে কলকাতা পুলিশের নগরপাল, উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তা, থানার ওসি ও এসপিরা উপস্থিত ছিলেন। আর ছিলেন দমকল, সিইএসসি, কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিরা। কলকাতার পুজো কমিটির সদস্যরাও ছিলেন। এদিনের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ও দূষণ পর্যদের নির্দেশ মেনে যাতে সবুজ বাজি পোড়ানো হয় তার ওপর।
এবার থেকে দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকার ক্লাব পিছু ৮৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন অনুদানের টাকা দেওয়ার কথা। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যারা টাকা নেবে না তাদের নাম কেটে দিয়ে পরিবর্তে অন্য ক্লাবের নাম যুক্ত করতে হবে। মমতা নবান্নে জানিয়েছিলেন এবছর ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে রাজ্য সরকার ভাঁড়ার থেকে খরচ করবে ৪৫০ কোটি টাকা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।