যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার স্থান নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাসয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার শেষপর্যায়ের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর যে সংস্থাকে সিসিটিভি বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই সংস্থার প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও মেন হোস্টেল - এই দুটি স্থানে মোট ২৯টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। পরবর্তীকালে প্রয়োজন পড়লে আরও বেশি ক্যামেরা বসানোর কথাও চিন্তাভাবনা করবে কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার স্থান নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা না করে সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে নিশ্চিত হতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মেন হস্টেলের আবাসিক প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ব়্যাগিংএর শিকার হয়। হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। কী করে পড়ে গিয়েছিল - তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল না ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু সেই থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ও মেন হস্টেলে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি উঠেছিলে। তবে সিসি ক্যামেরা নিয়ে জটিলতাও তৈরি হয়েছিল। পড়ুয়া, শিক্ষক প্রতিনিধি, গবেষেক প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছিল জট কাটাতে। তারপরই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ২৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। ক্যামেরা বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়েবেলকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে।
নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা ছিল ব়্যাগিংএর শিকার নিহত ছাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। ৯ অগাস্ট রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরের দিন সকালে মৃত্যু হয় ছাত্রের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।