বঙ্গের বিরোধীদের ‘মেন্টাল হসপিটালে’র প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মদন মিত্র। ‘যে নোংরামিটা হল, তা বাংলার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি,’ বলেন ফিরহাদ।
“জগদীপ ধনখড়কে নিয়েও তো আমাদের অনেক আপত্তি ছিল। কিন্তু আমরা কখনও রাজ্যপালকে ‘হায়’ ‘হায়’ বলিনি। কেন্দ্রের সরকার ওদেরকে এইসব করতে পাঠিয়েছে।” বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণের বিপরীতে বিজেপি বিধায়কের তীব্র বিক্ষোভকে এভাবেই নিন্দা করলেন শাসকদলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, “সংসদীয় রাজনীতিতে এমনটা কখনও হয়নি। যে নোংরামিটা হল, তা বাংলার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।’ শুধু ফিরহাদ নন, তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এদিন রাজ্যপালকে অবমাননা করা হয়েছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ‘ভদ্র, রুচিসম্পন্ন এবং বাস্তববাদী রাজ্যপাল’ বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
বুধবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা হয় রাজ্যপালের ভাষণে। তাঁর ভাষণের শুরু থেকেই রাজ্য সরকার-বিরোধী স্লোগান তোলেন বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ, নিয়োগ দুর্নীতি সহ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে জেলবন্দি করা প্রসঙ্গেও স্লোগান তোলা হয়। রাজ্যপালের ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপালকে ‘ধিক’ ‘ধিক’ স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা কক্ষ ছাড়েন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক-আউট করেন সমস্ত বিজেপি বিধায়ক। রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে রীতিমতো ‘শেম শেম’ স্লোগান তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে।
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘বহুদিন বাদে অত্যন্ত ভদ্র, রুচিসম্পন্ন, বাস্তববাদী, শিক্ষিত, সচেতন রাজ্যপাল পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওরা ভুলে গিয়েছে, রাজ্যপাল হিসেবে যিনি এসেছেন, তাঁকে কেন্দ্রই সুপারিশ করে পাঠিয়েছে।’ তাঁর কথায়, রাজ্যপাল ভাষণে সরকারি যে সব পরিষেবার কথা বলেছেন, সেই পরিষেবা বিরোধীরাও পাচ্ছে। বঙ্গের বিরোধীদের ‘মেন্টাল হসপিটালে’র দরকার হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মদন।
পাশাপাশি, 'এরম ঘটনা ভারতে কখনও হয়নি বলে আমার মনে হয় এবং রাজ্যপালের পদক্ষেপটি আমার খুব ভালো লেগেছে, তিনি অবিচলিতভাবে নিজের ভাষণ দিয়ে গেছেন। যদি এটাই চলতে থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের খুব উপকার হবে।' বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
এভাবে রাজ্যপালকে অপমান করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা সংবিধান জানেন না, তাঁরাই নেতা হয়ে এসেছেন। সাংবিধানিক পদে থাকা কাউকে এভাবে অপমান করা যায় না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এভাবে বলা পাপ। সংসদীয় রাজনীতিতে কখনও এটা হয়নি।’ এর সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘এরা যখন সংবিধান মানে না তখন এদের এখানে থাকার অধিকার আছে কি না ভেবে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন-