
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে প্রথম রথযাত্রা। ইতিমধ্যেই পুজোর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। মাত্র ১ কিমি রুটে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন জগন্নাথদেবের ভক্তরাও। ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানিয়েছেন, এই উৎসব পুরীর রথযাত্রার অনুপ্রেরণায় আয়োজিত। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দুপুর ২টোয় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ANI-কে রাধারমন দাস বলেন, “দিঘা জগন্নাথ যাত্রা পুরীর রথযাত্রার অনুপ্রেরণায় আয়োজিত। এখানেও পুরীর মতোই দেবদেবীর রথ তৈরি করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভগবান তাঁর রথে আসবেন এবং রথযাত্রা শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী দুপুর ২টোয় এখানে আসবেন।” ইসকন কলকাতায়, রথযাত্রা উদযাপনের অংশ হিসেবে ভগবান জগন্নাথ, তাঁর ভাই বলরাম এবং বোন দেবী সুভদ্রাকে বিধিবদ্ধভাবে তাদের রথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে বিশাল বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব শুরু হওয়ায় ভক্তদের ঢল নেমেছে। ভিড়ে অনেকটাই পিছেয়ে রয়েছে দিঘা। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই দিঘাত রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ভক্ত সমাগম হচ্ছে।
ভগবান জগন্নাথ, তাঁর ভাই বলরাম এবং বোন দেবী সুভদ্রার তিনটি বিশাল রথ গুন্ডিচা মন্দিরে দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। এই মন্দিরে দেবদেবীরা এক সপ্তাহ থাকেন এবং তারপর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসেন। অন্যদিকে দিঘায় রথ মাসির বাড়ি হিসেবে দিঘাতেই অবস্থিত পুরনো জগন্নাথদেবের মন্দিরের উদ্দেশ্যা যাত্রা করবে। নতুন মন্দির আর পুরনো মন্দিরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। পুরনো মন্দিরকে মাসির বাড়ি হিসেবে চিহ্নি করছে। রাজ্য সরকার এই পুরনো মন্দিরের সংস্কারের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল।
পুরীদের দেশবিদেশ থেকে আসছেন ভক্তরা। মুম্বাই থেকে আসা একজন ভক্ত পূজা আনন্দ ANI-কে প্রথমবার যাত্রা দেখার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, "আমি মুম্বাই থেকে এসেছি। এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি ২০ বছর ধরে ভক্ত, কিন্তু এখানে এসেছি প্রথমবার। এটা একটা ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। আমি রথ টানতে চাই। বছরে এই একদিন ভগবান তাঁর বাসস্থান থেকে বেরিয়ে এসে 'জগৎ'-কে আশীর্বাদ করেন। সবাই এখানে এসে আশীর্বাদ নেওয়া উচিত। এখানকার আবহাওয়া খুবই মনোরম। সারারাত বৃষ্টি হয়েছে।"