একাধিক সংবাদ মাধ্যমেকে লক্ষ্ণণ শেঠ জানিয়েছেন, তিনি সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তবে স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে রহস্য জিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন সাংসদ।
৭৭ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পূর্ব মেদিনীপুরের একটা সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা লক্ষ্ণণ শেঠ। তমলুকের প্রাক্তন বাম সাংসদও ছিলেন তিনি। সেসব অতীত।যাইহোক নতুন করে আবার জীবন শুরু করলেন লক্ষ্ণণ শেঠ। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছি তাঁর বিয়ে নিয়ে। তবে তিনি তেমন কিছু জানাননি। এদিও প্রায় চুপিসারেই দ্বিতীয় বিয়েটা করে ফেললেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। শোনাযাচ্ছে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেনস লক্ষ্ণণ শেঠ। তাঁর স্ত্রী বিলাসবহুল হোটের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা। শোনা যাচ্ছে স্ত্রীর বয়স ৪২।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমেকে লক্ষ্ণণ শেঠ জানিয়েছেন, তিনি সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তবে স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে রহস্য জিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নিজের এলাকাতেই হবে বৌভাতের অনুষ্ঠান। তখনই সকলেই তাঁর স্ত্রীর পরিচয় জানতে পারবেন। তবে বৌভাতের দিনক্ষণ নিয়ে এখনও রা-কাড়েননি প্রাক্তন বাম নেতা। জানানি রিসেপসনের তরিখও। শুধু অনুষ্ঠান যে তাঁর নিজের খাস তালুকেই হবে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
লক্ষ্ণণ শেঠ- তমলুকের তিনবারের সাংসদ ছিলেন লক্ষ্ণণ শেঠ। ২০০৯ সালে তাঁকে তৃণমূলের টিকিটে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধাকারী। যদিও দুর্নীতির কারমেই ২০১৪ সালে তাঁকে সিপিআই(এম) বহিষ্কার করে। তারপর নিজের একটি দল তৈরি করেন। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। যোগদেন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপিও ২০১৮ সালে তাঁকে বহিষ্কার করে। তারপরে ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন লক্ষ্ণণ শেঠ। কিন্তু তেমনভাবে তাঁরে আর সক্রিয়া রাজনীতিতে দেখা যায়নি। শোনাযায় নিজের এলাকা ছেড়ে কলকাতাতেই থাকেন বেশিরভাগ সময়।
স্ত্রী তমালিকা পণ্ডাও রাজনীতিতে পরিচিত নাম ছিল। ২০১৬ সালে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ১৯৭৯ সালে তমালিকাকে বিয়ে করেন লক্ষ্ণণ। রাজনীতিতে স্বামীর যোগ্য সহধর্মিনী ছিলেন তমালিকা। পুরসভার দায়িত্ব যেমন সামলেছেন তেমনই বিধায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন। কিন্তু সিপিআই(এম) ছাড়ার পরে নতুন দল গঠন করলেও স্ত্রী সেখানে যোগ দেননি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ব্যবসা থেকে শুরু করে সংসার সবই একা হাতে সামলেছেন লক্ষ্ণণ শেঠ। এবার সম্পর্ণ নতুন উদ্যমে জীবনের দ্বিতীয় ইনিং শুরু করতে চান লক্ষ্ণণ শেঠ।