মমতা দ্রুত মণিপুর যেতে চান। উত্তর -পূর্বের এই রাজ্যে হিংসা বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আর শান্তির বার্তা দিতে চান। প্রথম থেকেই মণিপুর নিয়ে ওয়াকিবহল তিনি- জানিয়েছে সরকার কর্তা।
হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর যেতে চেয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার নবান্নের এক কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মণিপুর যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি হিংসার শিকারদের পাশে দাঁড়াতে চান বলেও জানিয়েছেন।'
সংসবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মমতা দ্রুত মণিপুর যেতে চান। উত্তর -পূর্বের এই রাজ্যে হিংসা বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আর শান্তির বার্তা দিতে চান। সরকার এক কর্তা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। সেখানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
যাইহোক গত সপ্তাহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে মণিপুরে পরিণত করার চক্রান্ত করছে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কারণ এই রাজ্যের কুড়মি আন্দোলনকারীরা তৃণমূলের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিলেন। যদিও আন্দোলনকারী কুড়মি সংগঠন জানিয়েছে এই হামলার পিছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে সোমবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ময়ণিপুর গিয়েছেন। সেখানেই তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক বৈঠক করেছেন। কথা বলতে পারেন স্থানীয় সংগঠনগুলির সঙ্গে। গত একমাস ধরেই উত্তপ্ত মণিপুর। তফসিলি উপজাতির মর্যাদার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের পরিস্থিতি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও মণিপুরে আন্দোলনের বলি ৭৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রবিবার জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সশস্ত্র অভিযানে প্রায় ৪০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়েছে, তারা সাধারণ মানুষেক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, গুলি চালানোর মত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
মণিপুরের এক সরকার পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সেনা বাহিনী অস্ত্র মুক্ত করার জন্য রবিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু করেছিল। তারপরই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইম্ফলের পশ্চিমে উরিপোকে বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করে দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। উইম্ফলের বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন সকাল থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে। কাকচিংয়ের সুগনু, চুরাচাঁদপুরের কাংভি, ইম্ফল পশ্চিমের কাংচুপ, ইম্ফল পূর্বের সাগোলমাং, বিষেনপুরের নুঙ্গোইপোকপি, ইম্ফল পশ্চিমের খুরখুল এবং কাংপোকপিতে ওয়াইকেপিআইতে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নিয়েছিল। সরকারি কর্তা আরও জানিয়েছেন, একাধিক জায়গায় জঙ্গিদের নেতৃত্বে ছিল মহিলারা। সেখানে সেনা টহল আপাতত কমান হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
বায়রন বিশ্বাসের দলবদল নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি, ডেরেকের নিশানায় জয়রাম রমেশ
১৫ দিন ধরে প্রেমিকাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল সাহিল? দিল্লি খুনে চাঞ্চল্যকর হত্য পুলিশের হাতে