বিবার রাতে টুকাই শিকদারের ফাঁকা বাড়িতে তরুণীকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে প্রায় অচৈতন্য করে দেওয়া হয় তরুণীকে।
অশোকনগরে তরুণীকে বাড়িতে ডেকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চার জনকে। এই ঘটনায় আবারও প্রকট হল রাজ্যের নারী নির্যাতনের বেআব্রু ছবিটা। গভীর রাতে অশোকনগর থানার পুলিশই রাত তিনটে নাগাদ বেঁহুশ অবস্থায় উদ্ধার করেছে নির্যাতিতা তরুণীকে। তারপরই দ্রুত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় ধৃতরা হল তন্ময় পাল, আশাক চক্রবর্তী, টুকাই শিকদার ও গোপাল পাল। ধৃতদেরও বাড়ি অশোকনগরে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে টুকাই শিকদারের ফাঁকা বাড়িতে তরুণীকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে প্রায় অচৈতন্য করে দেওয়া হয় তরুণীকে। তারপরই একে একে ধর্ষণ করে চার যুবক। তরুণী কলকাতায় একটি পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। সোমবার সকালে ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হয়।
এসডিপিও জানিয়েছে, গণধর্ষণেক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে। তবে নির্যাতির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এসডিপিও।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগে তরুণী বলেছেন, পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার চেয়েছিলেন। সেই টাকা দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ডেকে পাঠান হয়। তারপরই চার জনে মিলে তরুণীকে নিয়ে আকাশের বাড়িতে যায়। সেখানেই মদ্যপান করে তরুণীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। যদিও অভিযুক্ত আকাশের মা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে নির্দোষ। তরুণী রাতের বেলা তাদের বাড়িতে এসেছিল। তরুণীর পোশাক আর চালচলন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন সকালেই তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। পুলিশ তাঁর ছেলেকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বসেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।