সন্দেশখালির দুটি খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান।
বড় বিপদে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। এই কথা বলে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপই করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি প্রসেনজি বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে।
25
মামলার প্রেক্ষাপট
সন্দেশখালির দুটি খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু সোমবার তার া আবেদনে হস্তক্ষেপই করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হচ্ছে।
35
খুনের ঘটনা
২০১৯ সালের ৮ জুন দুই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। এক ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন শাহজাহান। গত সোমবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। কিন্তু রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। এই সোমবার রায় ঘোষণা হয়।
আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের মক্কেলকে অভিযুক্ত করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও মামলার আবেদনকারীরা কেন তাঁকে মূল মামলায় যুক্ত করেননি? এর আগে বিচারপতি দেবাংশু বসাক শাহজাহানের আইনজীবীর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, 'আপনাদের বক্তব্যে আদালতের প্রশ্নগুলির কোনও জবাব নেই। যেখানে সিঙ্গল বেঞ্চ রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আপনার মক্কেলের যুক্ত হওয়া অপ্রয়োজনীয়, সেখানে আপনার এই আবেদন করার এক্তিয়ার কী?'
55
শাহজাহানের নাম নিয়ে টানাপোড়েন
এই ঘটনার প্রথম তদন্ত করেছিল সিআইডি। ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তখন নাম ছিল সেই সময়ের তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। কিন্তু CIDর চার্জশিটে তা বাদ পড়ে। সেই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন এক মৃতের স্ত্রী। সেই মামলাতেই CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট।