
Hooghly News: উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নামে নিখোঁজ পোস্টার বিজেপির। কোন্নগর নবগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা, 'রাস্তাগুলো হচ্ছে শেষ বিধায়ক আমার নিরুদ্দেশ'।আবার লেখা হয়েছে, 'বিধায়ক তুমি আছো কোথা, কবে শুনবে মানুষের ব্যাথা'।
উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পেলে অবশ্যই জানাবেন। ভারতীয় জনতা পার্টির নামে এই পোস্টার মারা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকে বিধায়ককে আর সেভাবে এলাকায় দেখা যায় না। ফলে মানুষ অসুবিধার কথা কাকে জানাবেন। তৃণমূল বলে উন্নয়ন নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। এই তার অবস্থা। রাস্তায় চলা দায়। পুজোর সময় তাপ্পি মারে আবার কিছুদিন পর পিচ উঠে রাস্তায় চলা দায় হয়। নবগ্রাম,কানাইপুর,রঘুনাথপুরে ছবিটা একই। কোনও কাজেই বিধায়ককে পাওয়া যায় না। তা শাসক দলের লোকই বলে উত্তরপাড়ায়। সাধারণ মানুষতো বলবেই।
তৃণমূলের পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘’বিধায়কের তহবিল থেকে নবগ্রামের রাস্তা তৈরি হয়েছে। এখন বিজেপির চোখে যদি ন্যাবা হয় তাহলে তো কিছু করার নেই। বিধায়ক আসবেন কি আসবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার নানা কাজ আছে। বিজেপি পরিযায়ী পাখির মত নির্বাচন এলেই তাদের দেখা যায় আর নানা রকম অভিযোগ করতে থাকে। এগুলো সব রাজনীতি করার জন্য করছে।''
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তর পাড়ায় পাড়ায় সমাধান শিবিরে উপস্থিত থাকলেও সেখানে বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে দেখা যায়নি, জানিয়ে ক্ষোভ ছিল তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেই। তৃণমূলের একাউন্সিলর সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, বিধায়ককে সিনেমায় দেখা যায় কিন্তু তার বিধানসভা এলাকায় দেখা যায় না।
কাঞ্চনজ জবাব দিয়েছিলেন, এখন কেউ যদি দেখেও না দেখতে পায় তাহলে তার কিছু করার নেই। কারণ তিনি তার পাড়ায় আসেন তার যে অফিস আছে সে অফিসে বসেন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করেন। পরে অন্য একটি পাড়ায় সমাধান শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, মহিলাদের কোনো সম্মান দেন না জেলা নেতৃত্ব,ক্ষোভ দেখিয়ে কেঁদে ভাসালেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা। মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিজেপির সভা অথচ দলের মহিলাদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ হুগলি বিজেপি মহিলা মোর্চার। চুঁচুড়া ঘ[ড়ির সভা শেষে অসম্মানে কেঁদে ভাসালেন কর্মীরা।
মঙ্গলবার বিজেপির প্রতিবাদ সভা ছিল চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সাংসদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা মোর্চার কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।