রাতের অন্ধকারে মহিলার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কন্যাসন্তানের সামনেই তার মা-কে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রোষ থেকে রক্ষা পেল না ছোট্ট শিশুও।
স্বামীকে হারানোর পর ছোট্ট মেয়েকে বড় করার জন্য এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করে রোজগার করতেন অসহায় মহিলা। আচমকা তাঁর দিকেই নজর পড়ল এলাকার এক কুখ্যাত ‘ডন’-এর। রাতের অন্ধকারে মহিলার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কন্যাসন্তানের সামনেই তার মা-কে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রোষ থেকে রক্ষা পেল না ছোট্ট শিশুও।
-
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, হুগলি জেলার কোন্নগরে থাকেন নির্যাতিতা মহিলা। আদতে তিনি কালনার বাসিন্দা। কোন্নগরে নিজের মেয়ে আর দিদির সঙ্গে থাকেন তিনি। গত শনিবার রাতে তিনি যখন দশ বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন, তখন রাত প্রায় ২ টো নাগাদ চুপিসারে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে অভিযুক্ত। ঘুমের মধ্যেই তাঁর মুখ চেপে ধরে সে। মেয়ের সামনেই তাঁর পরনের পোশাক ছিঁড়ে দেয়। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে।
-
মায়ের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করার পর অভিযুক্তের নজর গিয়ে পড়ে তাঁর দশ বছরের নাবালিকা কন্যার ওপর। শিশুর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। তখনই অন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁর দিদি। তিনি যুবককে বাধা দেন। তখনই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় প্রতিবেশী যুবক।
-
ঘটনার পরদিন উত্তরপাড়া থানার অন্তর্গত কানাইপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে শ্রীরামপুর আদালত। এই ঘটনার বিষয়ে কানাইপুর পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভবেশ ঘোষ বলেছেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। এটা একটা নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ অভিযোগ পেতেই ব্যবস্থা নিয়েছে। রাতে যাতে আরও বেশি করে পুলিশি টহল হয়, তা দেখতে বলব।”
-
আতঙ্কিত নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে, তিনি যে ঘরে থাকেন, সেটির দরজার ছিটকিনি আলগা। অভিযুক্ত যুবক যখন তাঁর ঘরে ঢুকেছে আমি টের পাইনি। আমি শুনতে পাইনি। তবে ঘুমের মধ্যেই বুঝতে পেরেছি আমার নাইটি তুলছে। একবার নামিয়েও দিলাম। তারপর ফের একই কাজ। এরপরই আমায় ধর্ষণ করে। এই সব করার পর বলছে আমি এলাকার ডন। এমনকী আমায় মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।