
TMC Vs TMC: বিধানসভা ভোটের আগেই ভাঙনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রাককালে নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন হুমায়ুন কবীর। বাঙালি সংখ্যালঘুদের মন বুঝতে চেয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি সমীক্ষা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাতে পজেটিভ ফল পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন হুমায়ুন কবীর।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও রাগ বা ক্ষোভ নেই। তার অভিযোগ দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। হুমায়ুন কবীর বলেছেন, নেত্রীর নির্দেশ মানছে না দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। 'দল করে প্রমাণ করতে চাই চাষ বদল দিয়ে হয়। ছাগল দিয়ে হয় না'। তিনি বলেছেন তিনি যদি নতুন রাজনৈতিক দল করেন তা শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীক করবেন না। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া- এই জেলাগুলি নিয়েই দল করবেন। তার দল ৫০-৫২টি সিটে নির্বাচন লড়তে পারে।- এমনভাবেই দল তৈরি করতে চান বলেও জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। যদিও তিনি নিজেই জানিয়েছেন, 'বলদের পক্ষে লোক রয়েছে, না ছাগলের পক্ষে লোক রয়েছে, সেটাও একবার ওঁদের চাক্ষুস করানোর প্রয়োজন রয়েছে।'
হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, স্থানীয় স্তরে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। মমতা বা অভিষেককে নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলেছেন, 'যাঁরা সভাপতিরয়েছে তারা সমস্যা। কোনও আলোচনা করেননি। কোনও গুরুত্ব পাই না আমি।' তিনি বলেছেন, 'আমাদের থেকে যারা জুনিয়র, অপূর্ব সরকার হোক বা খলিলুর রহমান তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন।' তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় ফিরবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা। তিনি বলেছেন, 'কিন্তু আমি নেত্রীকে অবগত করার জন্য দলটা করব। যে আমার মতো লোকের দরকার হয়তো হবে না। কিন্তু ছাগল দিয়ে যে ধান মাড়া হচ্ছে তাতে যোগ্য ভোটার সম্মান পাচ্ছে না। যোগ্য ভোটাররা যাতে সম্মান পান তারই ব্যবস্থা করব।'
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু এলাকার ভোটারদেরই টার্গেট করেছেন হুমায়ুন কবীর। দক্ষিণবঙ্গে তেমন পাত্তা পাবেন না। সেই কারণেই তার নজর নিজের খাসতালুক মালদা, মুর্শিদাবাদ। দুই জেলার সংলগ্ন এলাকাতেও নজর দিচ্ছেন হুমায়ূন কবীর।