'দ্যা কেরালা স্টোরি'নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বলল সমস্যা হলে আমাদের দোষ দেওয়া যাবে না। সমস্যার আশঙ্কা করেই রাজ্য এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছিল।
রাজ্যে 'দ্যা কেরালা স্টোরি' প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার রাজ্যের সর্বত্র যে কোনও সিনেমা হলেই দেখা যাবে বিতর্কিত 'দ্যা কেরালা স্টোরি'। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে রাজ্য এবার রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে টার্গেট করল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, 'ছবিটি দেখানোর কারণে কোনও সমস্যা তৈরি হলে বিরোধীরা কিন্তু রাজ্যের শাসক দলকে দোষ দিতে পারবে না।' তৃণমূল কংগ্রেস আরও বলেছে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আশঙ্কার কথা বিবেচনা করেই রাজ্যে এই ছবির প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আদা শর্মা অভিনীত 'দ্যা কেরালা স্টোরি' মুক্তি পেয়েছিল ৫ মে। সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবির ওপর রাজ্য সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল গত ৮ মে।
এদিন রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেবে। তৃণমূল কংগ্রেসও জানিয়েছে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় মানবে। কিন্তু দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই রাজ্য সরকার ছবি প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যাইহোক , ছবিটি হলে প্রেক্ষাগৃহে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী শশী পাঁজা বলেন, রাজ্য সরকার আদালতের আদেশ মেনে চলবে। তবে এতে রাজ্য সরকারের হার বা জিত হয়েছে -এই ভাবে বিরোধীদের এই বিষয়টি দেখা উচিৎ নয়। কারণ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে দলের নেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট যখন আদেশ দিয়েছে তখন এই ছবি হলে প্রদর্শিত হবে। কিন্তু ছবিটি স্ক্রিনিংএর সময় সমস্যা হয় তবে বিরোধীদের আমাদের দোষ দেওয়া উচিৎ নয়।'
বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, বলেছেন রাজ্য সরকার ছবিটি নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কাছে বার্তা পাঠাতে তৃণমূল কংগ্রেস এই ছবিটি নিষিদ্ধ করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে। বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, এবার তৃণমূলের উচিৎ সুপ্রিম কোর্টের রায় থেকে শিক্ষা নেওয়া। সংখ্যালঘু ভোটব্য়াঙ্কের কথা মাথায় রেখেই ছবি প্রদর্শন বন্ধ করেছিল তৃণমূল সরকার। অভিযোগ করেন রুদ্রনীল।
অন্যদিকে সিপিআই(এম) নেতা তন্ময় ঘোষের অভিযোগ ছবিটিতে বিনামূল্য প্রচার পাইয়ের দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, 'ছবিটি কেরলের বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা। কিন্তু তবুই ছবিটি নিষিদ্ধ করার কোনও দাবি আমাদের ছিল না। আমরা তাতে বিশ্বাসীও নই। তৃণমূল বিনামূল্য ছবির প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল।'
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ, ৩২ হাজার হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে ছবিতে তা সরিয়ে দিতে প্রযোজনকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ মে বিকেল ৫টার মধ্যে এই কথা সিনেমা থেকে সরিয়ে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওযা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
Rain Update: সন্ধ্যে নামার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিতে স্বস্তি কলকাতা ও শহরতলীর, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া
মমতার জোট সূত্রের তীব্র সমালোচনা বিজেপির, বিরোধীদের মিশন-ভিশন কিছুই নেই
Monsoon: বিলম্বিত লয়ে আসছে বর্ষা, কেরলে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ চার দিন পিছিয়ে - জানাল মৌসম ভবন