সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়া অফিস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই বছর কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকবে কিছুটা দেরিতে। কেরলায় ৪ দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকবে
প্রবল গরম। শীতের পর বৃষ্টি প্রায় নেই। মাটি ফুটিফাটা হয়ে যাচ্ছে। যাওবা মাঝেমধ্যে বৃষ্ট হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। পাহাড় থেকে সমতল দীর্ঘ তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এই অবস্থায় বর্যার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে রাজ্যের মানুষ। এই অবস্থায় দেশের আবহাওয়া দফতর কিছু জানিয়ে দিচ্ছে কিছুটা হলেও দেরিতে আসছে বর্ষা। কারণ ভারতের আবহাওয়া দফতর আইএমডি জানিয়েছে, কেরলে বর্ষা আসছে ৪ জুন। কিন্তু কেরলে বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় সময় ১ জুন। আর্থাৎ কেরলে বর্ষা চার দিন পিছিয়ে রয়েছে। আর সেই কারণে গোটা দেশেই বর্ষা আসবে দেরিতে।
আবহাওয়া অফিস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'এই বছর কেরলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকবে কিছুটা দেরিতে। কেরলায় ৪ দিন দেরিতে বর্ষা ঢুকবে। ৪ জুন থেকে বর্ষা শুরু হবে মূল ভূখণ্ডে। ' গত বছর ২৯ মে কেরলে বর্ষা ঢুকেঠছিল। ২০২১ সালে ৩ জুন আর ২০২০ সালে ১ জুন কেলরে বর্ষা ঢুকেছিল। ভারতের মূল ভূখণ্ডে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি কেরলেই প্রথম পা রাখে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক , যা তীব্র গরম থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যায় তা জানার।
আবহাওয়া দফতর বলেছে, এল নিনোর পরিস্থিতি থাকলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ভারতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে বলে আশা করা যায়। কৃষি নির্ভর ভারতে বৃষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাষের জন্য ৫২ শতাংশ বৃষ্টির প্রয়োজন। এই দেশের মোট খাদ্য উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশই বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা আর আর্থিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এবার আসি বাংলার কথায়- কেরলে যেদিন বর্ষা প্রবেশ করে বা মৌসুমী বায়ু পা রাখার ৮-১০ দিনের মধ্যে বাংলায় বর্ষা শুরু হয়। এবার কেরলেই বর্ষা যেহেতু দেরীতে আসছে তাই বাংলাতেও বর্ষা আসার সময় অনিশ্চিত। কেরলে বর্ষা আসার পরই বাংলায় বার্ষার আসার দিনক্ষণ জানাযাবে। কেরল যদি ৪ জুন বর্ষা আসে তাহলে বাংলায় বর্ষা আসতে ১৪ জুন হতে পারে। তবে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে। কারণ এই বছর প্রায় গোটা দেশজুড়েই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু জায়দায় সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। তাই শুধু বাংলা নয় গোটা দেশই বর্ষার প্রতীক্ষায় রয়েছে।