গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃত মিনারুলের নিত্য অসম ও মুর্শিদাবাদে যাতায়াত ছিল। এলাকার লোকজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল।
মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি মিনারুল সম্পর্কে সামনে এল বিষ্ফোরক তথ্য। বাংলাদেশে অশান্তির আবহেই মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মনিরুল ও আব্বাসকে। মণিরুল সম্পর্কে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। মূলত পেঁয়াজ বীজের ব্যবসার আড়ালেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃত মিনারুলের নিত্য অসম ও মুর্শিদাবাদে যাতায়াত ছিল। এলাকার লোকজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। অসম থেকে পেঁয়াজবীজ নিয়ে আসতেন। সেগুলি মুর্শিদাবাদের কৃষকদের মধ্যে বিলি করতেন। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালেই তিনি জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। এলাকার মানুষের সঙ্গে দুর্দান্ত যোগাযোগ ছিল বলেও গোয়ান্দাদের অনুমান। অসম থেকে ধৃত নুর ইসলাম ও মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গোয়েন্দারা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন, পেঁয়াজের ব্যবসার আড়ালে আর কী কী করত মণিরুল।
মিনারুলের সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গোয়েন্দা সূত্রের খবর মিনারুল ও আব্বাসের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিল। সেখানেই তারা বিভিন্ন নির্দেশ দিত। মাস দুইয়েক আগে বাংলাদেশের স্লিপার সেলের এক সদস্য মুর্শিদাবাদে এসেছিল। সুতির সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তার কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না। তার সঙ্গেও মিনারুলের যোগাযোগ ছিল।
অসম এসটিএফ মিনারুল আর আব্বাসকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি, সিমকার্ড, মোবাইল ফোন। সেগুলি খতিয়ে দেখেই অসম পুলিশের অনুমান মিনারুল ও আব্বাস দুজনেই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।