অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি , ধর্ম, রীতিনীতি ও জবীনধারা হাজার হাজার বছর পুরনো। পেট্রোপোলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর অমিত শাহের।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের আন্তঃসংস্কৃতি ও ভাষার ইতিহাস প্রায় একই। আর সেই কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেউ নষ্ট করতে পারবে না। মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্তা দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-এর ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অমিত শাহ ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি ও বর্ডার সিকিউকিটি ফোর্স এর বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেই জন্যই এদিন তিনি উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সফর করেন।
অমিত শাহ বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি , ধর্ম, রীতিনীতি ও জবীনধারা হাজার হাজার বছর পুরনো। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে কেউ চিড় ধরাতে পারবে না।' তিনি বলেন, ইতিহাসে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথাও উত্থাপন করেন তিনি। বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ভারতের স্থলবন্দরগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এদিন স্থলবন্দরগুলির প্রশংসাও করেন তিনি। বলেন, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে স্থলবন্দরের বাণিজ্য ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা বর্তমানে সেই সেই বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি শুধুমাত্র দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেন না। এটি প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে। অমিত শাহের কথায় ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি ভারতের দূত হিসেবেও কাজ করে। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এই সংস্থার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ২০১৪ সাল থেকে সমান্ত পরিকাঠামো ও সংযোগ উন্নত করার ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি বলেন ভারতের নীতি স্পষ্ট। ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নতি আর শক্তিশালী অবকোঠামো তৈরি করতে চায়। সীমান্তবর্তী এলাকার সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে নতুন দিল্লি একাধিক পদক্ষেপ করেছে বলেও দাবি করেন অমিত শাহ।
রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সফরে অমিত শাহ
রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৮ মে সোমবার রাতে কলকাতা পৌঁছন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সারাদিন একের পর এক কর্মসূচি শহরে। ৯ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন অমিত শাহ। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মালা দেন তিনি। এর পর দুপুর ১২টায় উত্তর ২৪ পরগনার আইসিপি পেট্রাপোলের উদ্দেশে রওনা হবেন শাহ। এখানে রতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিএসএফের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আসবেন কলকাতার সায়েন্স সিটিতে। সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন। বিকেল ৫টায় সায়েন্স সিটিতে ‘খোলা হাওয়া’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ।