সুনীতি মৃধা বলেন, 'একদিন আমাকে এসে সেখানকার এক মুসলিম বলে, তোমাদের রাজা ভারতে চলে গিয়েছে। তোনরাও আস্তে আস্তে দুই-তিন মাসের মধ্যে ভারতে চলে যাও। তোমরা নমঃশূদ্ররা ভারতে চলে যাও। না হলে তোমাদের একটাকেও আস্ত রখব না।'
১০ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে। সদ্য বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এসে তেমনই জানালেন এক ভারতীয়। দিন দশেক আগে বাংলাদেশে দিদি আর দাদার বাড়িতে গিয়েছিলেন বনগাঁর হরিদাসপুরের বাসিন্দা সুনীতি মৃধা। বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন চোখেমুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে। জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমকত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে।
সুনীতি মৃধা বলেন, 'একদিন আমাকে এসে সেখানকার এক মুসলিম বলে, তোমাদের রাজা ভারতে চলে গিয়েছে। তোমরাও আস্তে আস্তে দুই-তিন মাসের মধ্যে ভারতে চলে যাও। তোমরা নমঃশূদ্ররা ভারতে চলে যাও। না হলে তোমাদের একটাকেও আস্ত রখব না।' বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কেও তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন, 'উরি বাবা সে কথা বলা যাবে না। বিশাল হামলা চলছে। ভাল ভাল দেখতে বউ মেয়েকে ওরা তুলে নিয়ে যেতে চায়। জামাতের দল আর খালাদের দল। মায়ের কাছ থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরে আগুন দিচ্ছে। জমি জমা দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন রাতের দিকে বেশি হামলা চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায় ভারতে যদি চিকিৎসার জন্য মুসলিম আসে তাহলে তাদের বের করে দেওয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেন, ভারতের উচিৎ বাংলাদেশে চাল , গমের মত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস না পাঠানো।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েছ। হিন্দু আন্দোলনের মুখ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের পক্ষে সওয়াল করার জন্য এদিন কোনও উকিল পাওয়া যায়নি। যার কারণে তাঁকে আরও এক মাস কারাগারে কাটাতে হবে। আগে যে আইনজীবী তাঁর পক্ষে সওয়াল করতে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁকে আদালত চত্ত্বরেই খুন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন বাংলাদেশ সরকার ডেকে পাঠিয়েছিল ভারতের রাষ্ট্রদূতকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।