গত দুবছর থেকে একাধিক দুর্নীতির মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। আর সেই প্রাক্তন বিচারপতিই এখন জনতার দরবারে। আজ আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী।
এসএসসি দুর্নীতি মামলা তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল। তাঁর রায়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন চাকরিপ্রার্থীরা। তিনিই দেখিয়ে ছিলেন কাউকে রেয়াত নয়। গত দুবছর থেকে একাধিক দুর্নীতির মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন বিচারপতি। আর সেই প্রাক্তন বিচারপতিই এখন জনতার দরবারে। আজ আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী।
প্রথম জীবনে মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে স্কুল জীবন শেষ করেন তিনি। এরপর হাজরা ল কলেজে ১৯৭৯ সালে পড়া শুরু করেন। তার কর্মজীবন শুরু করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসের ” এ” গ্রেডের অফিসার হিসেবে। সরকারি স্তরের বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে তিনি চাকরি থেকে পদত্যাগ নেন বিচারপতি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে বাংলা আইনজীবী হিসেবে অধ্যায়ন শুরু করেন।
প্রথম ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৮ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই থেকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
বিচারপতি হিসেবে একাধিক উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে একাধিক নির্দেশনা দেন। গঙ্গোপাধ্যায়ই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পেছনে বিচারপতি হিসেবে গঙ্গোপাধ্যায়ের পদক্ষেপও যথেষ্ট।
সেই প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ভালোবাসেন বই পড়তে, সিনেমা দেখতে এবং নতুন নতুন বিখ্যাত মানুষদের জীবনী জানতে। আইনের পাশাপাশি ইংরেজি এবং বাংলা সাহিত্য পড়তে পছন্দ করেন বিচারপতি। তার পছন্দের কবি জীবনানন্দ দাশ এবং জয় গোস্বামী। তবে বিবাহিত বলে জানা গেলেও প্রাক্তন বিচারপতির স্ত্রীর সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।