
খবরের শিরোনামে ট্যাব দুর্নীতি। ট্যাব দুর্নীতির অভিযোগে উত্তরবঙ্গ থেকে গ্রেফতার প্রতারকদের সঙ্গে মিলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলেরই যোগসূত্র। বুধবার এই ট্যাব দুর্নীতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৪ অভিযুক্ত। এরুপ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার হল আরও দুই।
পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রকি শেখ, পিন্টু শেখ, হোসেন আলী ও শ্রবণ সরকারকে। তাদের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্ধমান সাইবার থানায় ডাকা হয়েছিল। মালদা থেকে তারা যখন বর্ধমানে আসছিল তখন তাদের পরিবারের তিনজনের ফোনে আসে রহস্যজনক ফোন। জানান হয়, টাকা দিলে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা দিলেই জামিন নিশ্চিত।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন এমন ফোন আসল ধৃতদের পরিবারের কাছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, কি কোনও তৃণমূলের নেতাই এই ঘটনায় জড়িত? এদিকে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত শ্রবণ সরকারের বাবা জিতেন্দ্র সরকার কালিয়াচকের তৃণমূলের এসি সেলের সভাবপতি। তেমনই একে একে ধৃতদের পরিচয় আসছে সামনে। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও তৃণমূল নেতার যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ট্যাব কলেঙ্কারি এখন রাজ্যে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে অভিযোগ তুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার আসানসোলে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যোগ দিয়ে তিনি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। সে যাই হোক, এখন চলছে তদন্ত। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা দেখা হচ্ছে।