বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অর্পণ করা ধ্বজ উড়ল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মাথায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে অফুরান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুদিনের সফরে ওড়িশায় গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশার মাটিতে পা রেখেই তিনি ঘুরে দেখেন নিউ পুরী এলাকায় ‘বাংলা নিবাস’ তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা। এরপরেই পৌঁছে যান পুরীর ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দিরে। সেখানে গিয়ে আপ্লুত তৃণমূল নেত্রী। তাঁকে পেয়ে যথাযথ সম্মান জ্ঞাপন করলেন মন্দিরের সেবায়েতরাও। তাঁর কপালে পরিয়ে দেওয়া হল মন্দিরের পুজোর টিকা, গলায় অর্পণ করা হল পুরীর মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয়।
মন্দিরে পুজো দিয়ে সমগ্র চত্বর ঘুরে দেখে এসে সেবায়েত ও কর্মীদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠলেন বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে পেয়ে আনন্দিত হতে দেখা গেল পুরীর পূজারীদেরও। তাঁরা সসম্মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন জগন্নাথ দেবের একটি ধাতব মূর্তি। শুধু তাইই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীর মন্দিরের জন্য বাংলা থেকে যে ধ্বজটি নিয়ে গিয়েছিলেন, বুধবার সেটিই উড়ল ওড়িশার প্রাচীনতম মন্দিরের চূড়ায়। তার বদলে পুরনো ধ্বজটি তুলে দেওয়া হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘মা-মাটি-মানুষের জন্য পুজো দিয়েছি। আমি চাই সকলে ভালো থাক। সুখে থাক। জীবনে আনন্দ আসুক।’ যদিও, তাঁর উপস্থিতিকালে পুরীর মন্দিরের দর্শনার্থীদের প্রবেশে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। কয়েক ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে খুবই আনন্দির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সমস্ত ছবি প্রকাশ করে ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনি তুলেছেন মমতা। তাঁর মুখে মন্দিরের সেবায়েতদের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেছে।
আরও পড়ুন-
টি সিরিজের নতুন হাতিয়ার ডিজে র্যাভাটর, ওরফে হর্ষ সিং, তাঁর ‘আধুরে হাম’ দিয়ে বিশ্বের দরবারে এটাই প্রথম পদার্পণ
চৈত্র মাসে ঘরে অবশ্যই মেনে চলতে হয় কিছু বাস্তু নিয়ম, ভুল করলেই ঘনিয়ে আসবে মারাত্মক বিপদ