সংক্ষিপ্ত

দিল্লি হাইকোর্টে উত্থাপিত জামিনের মামলা নিয়ে আগে থেকেই বেশ কিছুটা আশাবাদী রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।

মঙ্গলবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কোর্টের নির্দেশের পরই তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানে প্রায় ২ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। জেল সূত্রে জানা গেছে, তিহাড় জেলের ৭ নম্বর লকআপে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর সঙ্গে একই সেলে বন্দি রয়েছেন তাঁর এককালীন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও।

তিহাড় জেলে যাওয়ার আগে থেকেই বারবার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সেই কারণে তাঁকে নির্দিষ্ট সময় মেনে অক্সিজেন, নেবুলাইজেশন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার শুনানি পিছলেও, আগামিকাল এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ফের জামিনের আর্জি জানাতে পারেন তাঁর আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে উত্থাপিত ওই মামলায় যাতে অনুব্রত মণ্ডল জামিন পান, তার জন্য জামিনের আর্জি হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতাকেই তুলে ধরতে পারেন তাঁর আইনজীবী। দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি, রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার, ইডির গ্রেফতারের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টর বৈধতা, এই চারটি বিষয়কে হাতিয়ার করেই জামিনের আবেদন করবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তার সঙ্গে রয়েছে অনুব্রতর অসুস্থতা। চলতি সপ্তাহের সোমবারই দিল্লির রা্ম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সেদিন তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। সেই বিষয়টিতেও আগামিকাল আদালতে জোর দেওয়া হবে। এর আগে ১৭ মার্চ তাঁর জামিনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে, ২৩ মার্চ হওয়া আসন্ন মামলার শুনানির বিষয়ে আগে থেকেই বেশ কিছুটা আশাবাদী রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডলের আইনজীবী।

আরও পড়ুন-

ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার পর নয়াদিল্লির ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সমস্ত বাহ্যিক নিরাপত্তা
২৪ মার্চ বারাণসীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা

গুরুদ্বারে ঢুকে বিয়ের অনুষ্ঠানে বন্দুক দেখিয়ে খাবার চেয়েছিলেন অমৃতপাল, কল করার পর ভেঙে দিয়েছিলেন ধর্মপ্রচারকের মোবাইল