আড়িয়াদহের জয়ন্তর চোখ ধাঁধানো সাদা অট্টালিকা 'অবৈধ', ছবিতে দেখুন বেআইনি বাড়ি তৈরির ভিত কেমন ছিল
আড়িয়াদহে বেনাম বাদশা জয়ন্ত সিং। তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। বিধায়ক মদন মিত্র ও সাংসদ সৌগত রায়- দুজনেই তাঁর পরিচিত- তেমনই দাবি করছে সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি সামনে এসেছে জয়ন্তর একাধিক কুকীর্তি।
Saborni Mitra | Published : Jul 12, 2024 6:39 AM IST
জয়ন্ত সিং
আড়িয়াদহের ত্রাস হিসেবেই বর্তমানে পরিচিত। তৃণমূল হাত ধরেই উত্থান বলে দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি মা ও ছেলেকে রাস্তায় পিটিয়ে রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে জয়ন্ত।
ভাইরাল জয়ন্ত
জয়ন্ত সিং এর একাধিক কুকীর্তির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। কোথাও মা ও ছেলেকে প্রকাশ্যে পেটাচ্ছে। কোথাও আবার ক্লাবঘরে হকিস্টিক দিয়ে চ্যাংদোলা করে পেটাচ্ছে। মোটকথা এলাকায় ত্রাস হিসেবেই পরিচিত ছিল জয়ন্ত ও তার গ্যাংএর।
জয়ন্তর বড়ি
সম্প্রতি সামনে এসেছে জয়ন্তর আরও এক কুকীর্তি। তার বাড়ি, থুড়ি বিশাল অট্টালিক। যা নাকি অবৈধ। পাশাপাশি সামনে এসেছে তোলাবাজির অভিযোগও।
পেল্লাই সাদা বাড়ি
পেল্লাই সাদা বাড়ি না বলে অট্টালিকা বলাই শ্রেয়। বিলাসবহুল বাড়ি। ঝাঁচকচকে বাড়ি। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। যা নাকি পুরোপিরি অবৈধ। কামারহাটি পুরসভা থেকে নকশা অনুমোদন করা হয়নি বলেও সম্প্রতি দাবি করেছে পুরসভা। কিন্তু তারপরেও কেন এতদিন কিছু বলেনি পুরকর্তৃপক্ষ- এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।
তিন তলা অট্টালিকা
পুকুরপাড়ের গা ঘেঁসে তৈরি হয়েছে বিশাল তিন তলা অট্টালিক। কামারহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই বাড়ি। তবে কোথা থেকে জয়ন্তর হাতে এল এত পয়সা- তাতেই সামনে এসেছে তোলাবাজির কথা
তোলাবাজির টাকায় রমরমা
স্থানীয়দের কথায় আড়িয়াদহে জয়ন্ত সিংএর রাজ চলে। সেখানে সব কিছুতেই লাগে জয়ন্ত ও তাঁর দলবদলের অনুমান। গয়ন্তের গ্যাং-এ রয়েছে ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী। যারা গোটা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করত। তবে জয়ন্তদের ওপর শাসকদলের প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
তোলাবাজির টাকা
স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় প্রোমোটারি করার জন্য টাকা দিতে হত জয়ন্তদের। ইট বালি সিমেন্ট বা স্টোনচিপে গাড়ি পিছু দর ছিল ১০-১৫ হাজার টাকা। একটা সময় জয়ন্ত নিজেও ইমারতি দ্রব্য সবরাহ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সিন্ডিকেট রাজ চালাতে শুরু করে।
২০২২সাল থেকেই রাজ শুরু
২০২২ সাল থেকেই জয়ন্তর রাজ শুরু কামারহাটি এলাকায়। এক প্রোমোটারের কথায় পাঁচ গাড়ি ইমারতি দ্রব্য রাখার জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হত। জয়ন্তর গ্যাংএর সদস্য বর্তমানে ১০০-১৫০ জন। টাকা মদ দিয়ে তরুণদের দলে টানত জয়ন্ত।
তবে বাড়ি নিয়ে পুরসভার মত
স্থানীয় সূত্রের খবর , পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল অট্টালিক। বর্তমানে পরসভার প্রধান অবশ্য বলছেন, এত বড় এলাকায় কোথায় কী হচ্ছে সব জানা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
গরুর দুধের ব্যবসা দিয়ে শুরু
স্থানীয় সূত্রের খবর গরুর দুধের ব্যবসা দিয়ে জয়ন্তর বাবা পথ চলা শুরু করেছিল। কিন্তু জয়ন্ত সেই ব্যবসায় এলেও বেশি দিন থাকেনি। পরবর্তীকালে ইমরতির ব্যবসা শুরু করে। তারপর সরাসরি চলে যায় অবৈধ কারবারে। বর্তমানে জেলে রয়েছে জয়ন্ত।