
Kaliganj By Election Results 2025: পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের ফলাফল আজ প্রকাশিত হচ্ছে। ভোট গণনা সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে এই আসনটি খালি হয়েছিল। কালীগঞ্জ বিধানসভা আসনের ফলাফল জানতে এখানেই চোখ রাখুন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয় কালীগঞ্জ আসন ধরে রাখতে নাসিরুদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছেন। বিজেপি এখানে আশীষ ঘোষ এবং কংগ্রেস কাবিল উদ্দিন শেখকে প্রার্থী করেছে। কংগ্রেসের ওপর সিপিআই (এম) এর সমর্থন রয়েছে।
২০১১ ও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের নাসিরউদ্দিন আহমেদ। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। বিজেপি প্রার্থীকে ৪৬ হাজার ৯৮৭ ভোটে হারান তৃণমূলের নাসিরউদ্দিন আহমেদ। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি পড়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে, কালীগঞ্জ আসনে বিজেপির থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সম্প্রতি কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তালিকা থেকে বাদ পড়ে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটারের নাম। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জে প্রায় ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু ভোট।
সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে পানিঘাটা হাইস্কুলে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট। তারপরে ইভিএম-এর ভোটগণনা হবে। গণনার জন্য দুটি হল ঘর থাকছে। গণনা কেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢোকার মুখে অর্থাৎ গণনা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে লাঠিধারী পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ। দ্বিতীয় স্তরে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় স্তরে কেবলমাত্র থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০ রাউন্ড গণনার মাধ্যমেই ৩০৯ টি বুথের ফলাফল সম্পূর্ণ করা যাবে।
রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা, প্রতি রাউন্ডে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে রাত আটটা বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি তিন শিবিরই নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে গণনা পদ্ধতি নিয়ে। বাম-কংগ্রেস জোটের দাবি, গণনা প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধীর করে দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে ভোটগণনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, অতীতে গভীর রাতে গণনার সুযোগ নিয়ে শাসক দল কারচুপি করেছে। এবারও সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসও অভিযোগ করেছে, আগে যেখানে ৩২টি টেবিলে গণনার পরিকল্পনা ছিল, এখন তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এবিষয়ে দলের এক নেতা বলছেন, ফল প্রকাশে দেরি হলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি এবং উত্তেজনা ছড়াতে পারে। সিসিটিভি বদল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে নিরীক্ষকের ‘গোপন’ বৈঠকসহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির।
জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ এবং কৃষ্ণনগর জেলা পুলিস সুপার অমরনাথ কে শনিবার পরিদর্শনে যান গণনা কেন্দ্রে। কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে নজরদারি চালাচ্ছেন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। গণনা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনাকে ঘিরে এই বিতর্ক উপনির্বাচনের পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।