টুইট যুদ্ধে উঠে এসেছে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন-সহ একাধিক অভিযোগ। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের ভূমিকাকে লজ্জাজনক বলেও দাবি করেছে রাজ্যের কমিশন।
কালিয়াগঞ্জ নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় নতুন করে শুরু হল তরজা। রবিবার সকাল থেকে গোটা ঘটনা নিয়ে টুইট যুদ্ধে জড়ালো জাতীয় এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন। রবিবার একের পর এক টুইটে একে অপরকে আক্রমণ শানাল দুই কমিশন। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে তীব্র কটাক্ষ করে জাতীয় কমিশন। টুইট যুদ্ধে উঠে এসেছে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন-সহ একাধিক অভিযোগ। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের ভূমিকাকে লজ্জাজনক বলেও দাবি করেছে রাজ্যের কমিশন।
টুইটে লেখা হয়েছে,'১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন। শিশু অধিকার সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় কমিশনের উপস্থিতি উপেক্ষা করে, এনসিপিসিআর স্পষ্টতই সিপিসিআর আইন লঙ্ঘন করে এবং রাষ্ট্রকে হেয় করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে অবৈধভাবে বাংলাতে প্রবেশ করে। এই ঘটনা লজ্জাজনক।' পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে এনসিপিসিআর-এর চেয়ার পার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের নিয়ে করা মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে,'যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুদের মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা গ্রামের বাসিন্দা কিশোরী। এলাকারই এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ হন। সেখানেই তারা জানতে পারে নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর নিথর দেহ।
শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির প্রতিনিধি দল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এদিন সাহেবঘাটা পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী-সহ বিজেপির একাধিক রাজ্য প্রতিনিধি দল। গোটা ঘটনাকে পুলিশের চূড়ান্ত ব্যর্থতার ফল বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। চোপড়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেও পুলিশ ও রাজ্য সরকারকে দুষলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি চোপড়ায়ও একই ধাঁচে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন এক রাজবংশী মেয়ে। সেক্ষেত্রেও আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করেছিল পুলিশ। একই ধাঁচে বারবার অপরাধ সংগঠিত হওয়া সত্ত্বেও ঠিকভাবে তদন্ত করছে না পুলিশ। এখানেই শেষ নয় প্রতিটি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াতে কালিয়াগঞ্জের আইসির ভূমিকা আছে বলেও দাবি করেন তিনি। অবিলম্বে আইসি এবং গ্রামের প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি তোলেন সুকান্ত।
আরও পড়ুন -
এবার ডিজিটাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় দ্বিগুণ জোর, কলকাতা পুলিশের নয়া পন্থা
কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, পুলিশ জানিয়েছে লাশের পাশ থেকে উদ্ধার বিষের বোতল
২৪-এও অনিশ্চিত ডিএ মামলার শুনানি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীরা