কাঞ্চন বলেন, এবার বাউন্ডারি মারবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি এলাকার অভিভাবক। বিরোধীরা কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিয়ের রেশ কাটিয়ে উঠে এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন কাঞ্চন মল্লিক। তিনি তৃণমূ কংগ্রেসের উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এবার তিনি তাঁরই লোকসভা কেন্দ্র শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার শুরু করেদিলেন। সম্প্রতি তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন কাঞ্চন। বিয়ে করেন শ্রীময়ী চট্টোরাজকে। তা নিয়ে রীতমত সমালোচনা শুনতে হয়েছে অভিনেতা বিধায়ককে। কিন্তু সেসব দূরে সরিয়ে রাজনৈতিক সহকর্মীর হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন কাঞ্চন।
এদিন কাঞ্চন বলেন, এবার বাউন্ডারি মারবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি এলাকার অভিভাবক। বিরোধীরা কেউ তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে নিজের বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কাঞ্চন। বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের এই লোকসভা ভোট অনেক বড়। তিনি আরও বলেন এই বারের ভোট বিজেপিকে হারানোর ভোট। পাশাপাশি দক্ষ রাজনীতিবিদের মত তৃণমূলের ইস্যুগুলিকেও তুলে ধরেন কাঞ্চন। বলেন ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে তাঁকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে।
তবে সহকর্মী দুই অভিনেত্রীর এবার হুগলির প্রার্থী। একজন তৃণমূলের রচনা অন্যজন বিজেপির লকেট। কথা প্রসঙ্গে তাদের কথাও ওঠে। কাঞ্চন অবশ্য এগিয়ে রেখেছেন রচনাকে। তবে নিজের তৃতীয় বিয়ের প্রসঙ্গে আসতেই তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি সকলেরই পাশে রয়েছে। সকলের জন্যই কাজ করেন। যদিও তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায় কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। তাঁরা অনেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন।
অন্যদিকে শ্রীরামুরে কল্যাণের বিরুদ্ধে সিপিএমএর নতুন মুখ দীপ্সিতা ধর। তিনি বলেছেন, বিজেপি আর তৃণমূল মূদ্রার দুই পিঠ। অর্জুন সিং-দের দলবদল দেখতে দেখতে মানুষ বুঝে গিয়েছে কে কেমন। যদিও কল্যাণ সিপিএম প্রার্থীকে আমল দিতে নারাজ।