দমদম পুরসভার প্রধান হরিন্দর সিং-এর বক্তব্য মানুষকে সচেতন করার জন্য পুরসভা সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা দুঃখের যে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয় নিয়ে সচেতন নয়। সেই কারণেই পুরসভাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। দ
ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিল দমদম পুরসভা। জল যাতে জমিয়ে না রাখা হয় তারজন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জমা জলেই মূলত ডেঙ্গুর মশা জন্ম নেয়। তাই যাতে ডেঙ্গুর মশা যাতে জন্ম না নেয় তারজন্যই এই পদক্ষেপ নিয়ে দমদম পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রথমে নোটিশ দেওয়া হয়। তারপরেও যদি জম জমিয়ে রাখার প্রবণতা থেকে যায় তাহলেই জরিমানা করা হবে। তবে সেই জরিমানার টাকার অঙ্ক কিন্তু খুব একটা কম নয়। জল জমিয়ে রাখলে ১০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। জলের পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে টাকার অঙ্ক।
দমদম পুরসভার প্রধান হরিন্দর সিং-এর বক্তব্য মানুষকে সচেতন করার জন্য পুরসভা সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা দুঃখের যে স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিষয় নিয়ে সচেতন নয়। সেই কারণেই পুরসভাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। দমদম পুরসভার ২২টি ওয়ার্ট রয়েছে। তারমধ্যে ১ থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসনগুলির কমিটির সম্পাদক ও সভাপতিদের নিয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল পুরসভার কর্তারা। পরবর্তীকালে ৯ থেকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে যে আবাসনগুলি রয়েছে তাদেরও সদস্যদের সঙ্গে পুরসভার কর্তারা বৈঠক হয়েছে। সেখানেও জম জলের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সমস্যার পুরোপুরি মেটেনি। তারজন্যই এজাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দমদম পুরসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্টেট আর্বান ডেভলপমেন্ট এজেন্সির অফিসাররাও। বৈঠকের পরই জমা জল নিয়ে জরিমানা ধার্য করার কথা জানান হয়েছে। স্থানীয় পুরকর্তা ও পতঙ্গবিদদের কথায় গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যা বলছে কলকাতা ও পুরসভা লাগোয়া এলাকাতে বাড়ির তুলনায় আবাসনগুলিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। রোগের প্রকোপ কমাতে শুধু সচেতনতা নয়স কড়া পদক্ষেপ জরুরি বলেও মনা করে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে এজাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।