দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express) পর কেটে গেছে অনেকক্ষণ। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর আপ লাইন পরিষ্কার করার কাজ শেষ। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হল মালগাড়ি।
দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express) পর কেটে গেছে অনেকক্ষণ। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর আপ লাইন পরিষ্কার করার কাজ শেষ। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হল মালগাড়ি।
সোমবার সকালে, রাঙাপানি স্টেশন পেরোনোর ঠিক পরেই ফাঁসিদেওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৯ জন এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ৪১ জন আহত। তার মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসার ফলেই এই দুর্ঘটনা। একটি মালগাড়ি পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। কার্যত, মালগাড়ির ইঞ্জিনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘার বগি উঠে যায় ওপরে। তার নিচ দিয়ে সজোরে ঢুকে যায় মালগাড়ির ইঞ্জিন।
অন্যদিকে, রাত ১২ টায় শিয়ালদহে পৌঁছনোর কথা ছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের। সেইজন্য খোলা হয় হেল্প ডেস্ক। যাত্রীদের বাড়ি ফেরার জন্য ব্যবস্থা করা হয় বিশেষ বাসের। গোটা বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে শিয়ালদহে খোলা হয় বিশেষ হেল্প ডেস্ক। সেইসঙ্গে, আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি জানান, আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে তাঁর।
এদিকে রাত বাড়তেই আরও একটি খবর এসে পৌঁছয়। মেয়ের জন্মদিনে দেখা করতে আসবেন বলে, তৎকাল টিকিট কাটেন কলকাতার বালিগঞ্জের দামিনী লেনের বাসিন্দা শুভজিৎ মালি। তিনি ছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjunga Express)। খবর পাওয়া যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে উদ্ধারকাজ। সেইসঙ্গে, লাইন পরিষ্কার করার কাজও চলতে থাকে। এনডিআরএফ, পুলিশ এবং প্রশাসন একসঙ্গে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে কিছুটা। আপ লাইন পরিষ্কার করার কাজ শেষ। তারপর পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় মালগাড়ি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।