
কসবা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সম্পর্কে উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই অবাধ্য ও অপরাধপ্রবণ মনোজিৎ। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকেই তার মধ্যে মাদক ও মদের আসক্তি ছিল। স্কপল ছেড়ে দেওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় দাপটে দেখাতে শুরু করে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কোমরে বেআইনি অস্ত্রি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং ভয় দেখানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকী, চেতলা ব্রিজের কাছে এক ব্যক্তিতে ছুরি গিয়ে খুনের চেষ্টাও করেছিল সে।
মনোজিৎ-র বিরুদ্ধে দুইটি অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলা আছে। আইন পড়াও সে কারণে চার বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে আইন কলেজে ভর্তি হলেও মামলার চাপ এড়াতে গা ঢাকা দেয়। ২০১৮ সালে ফের কলেজে ভর্তি হয় এবং নতুন ছাত্রীদের টার্গেট করতে শুরু করে।
তার পাড়ার লোকেরাও তার আচরণে বিরক্ত। নিয়নিত মদ্যপ অবস্থায় পাড়ার তরুণী থেকে গৃহবধূ সকলকে হেনস্তা করত। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা তুলত।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন। তা ছাড়াও এক জন ছিলেন অকুস্থলে। কলেজছাত্রীর কথায়, ওই ব্যক্তি ছিলেন অসহায়। তাঁকে ডেকেও সাহায্য পাননি। বস্তুত, তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, ওই রক্ষীতে তাঁর দায়িত্ব থেকে একপ্রকার সরিয়ে দিয়ে দুই অভিযুক্ত কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, মোট দু দফার তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল। প্রথমে ইউনিয়ম রুমে, তার পরে গার্ডস রুমে।