
Khaleda Zia Demise: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নয়াবস্তি অঞ্চল। কারণ, এখানেই খালেদা জিয়ার জন্ম। তাঁর শৈশবও কেটেছে জলপাইগুড়িতেই। তিনি জলপাইগুড়ি সদর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়েছেন। দেশভাগের পর সম্পত্তি হস্তান্তর করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (East Pakistan) চলে যায় তাঁর পরিবার। সেই সম্পত্তি বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়ে এখন গোপ ও চক্রবর্তী পরিবারের হাতে। খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকাহত ওই পরিবারের সদস্যরা। শোক প্রকাশ করেছেন গোপ পরিবারের ঝর্না ও নীলকন্ঠ গোপ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ দে এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব ভোলা মন্ডল। তাঁরা জানিয়েছেন, পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর আর কখনও জলপাইগুড়িতে আসেননি খালেদা জিয়া বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে তাঁর আত্মীয়দের নিয়মিত আসা-যাওয়া রয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব বলেছেন, 'আমার খুব দুঃখ লাগছে। আমি সকালবেলা এই ঘটনা শুনলাম। খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মানুষের মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক। সেই হিসেবে আমরাও দুঃখ পেয়েছি। খালেদা জিয়ার জন্ম আমাদের বাড়ির উল্টোদিকের জমিতে। আমার মায়ের কোলেই তিনি মানুষ হয়েছেন। দেশভাগের পর যখন সম্পত্তি বিনিময় হয়, তখন অমরেন্দ্র চক্রবর্তী জলপাইগুড়ির এই বাড়িতে আসেন এবং খালেদা জিয়ারা পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। এই বাড়িতে তখন থেকেই অমরেন্দ্র চক্রবর্তীরা থাকেন। গত বছরও খালেদা জিয়ার আত্মীয়রা জলপাইগুড়ি শহরে এসেছিলেন। তাঁরা ভিটেতে প্রণাম করে চলে যান। খালেদা জিয়ার পরিবার প্রতিবেশী হিসেবে অত্যন্ত ভদ্র ছিল। তাঁরা সবার সঙ্গে মিলে-মিশে থাকতেন। আমরা খ্রিস্টান, ওঁরা মুসলমান, পাশে হিন্দু। সবাই একসঙ্গে থাকতাম। কোনও অসুবিধা ছিল না।'
জলপাইগুড়ি সদর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক। তিনি জানিয়েছেন, ছুটির পর স্কুল খুললে শোকসভা হতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।