Vishwakarma Puja 2025: শান্তিপুরে সত্যিই যেন জীবন্ত বিশ্বকর্মা। তাঁর নাম কৃষ্ণধন সরকার। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আলোচনায় উঠে এলেন নদীয়ার শান্তিপুরের বাথানগাছি গ্রামের কৃষ্ণধন সরকার। বহু বছর আগে চোখের দৃষ্টি হারালেও কিন্তু থেমে যাননি তিনি। বরং, হাতের স্পর্শ আর অভিজ্ঞতার জোরে আজও সাইকেল, টলি ভ্যান কিংবা রিক্সা অবলীলায় মেরামত করে চলেছেন।
একটা সময় ছিল, যখন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দোকান চালাতেন কৃষ্ণধন বাবু। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর, নিজের বাড়িতেই ছোট্ট একটি দোকান খুলে প্রায় ১২-১৫ বছর ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু চাকার লিক নয়, বড়সড় যন্ত্রাংশও অনায়াসে সারিয়ে ফেলেন শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার বিচারে।
স্থানীয় মানুষজন এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, “এমন কাজ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া করা সম্ভব নয়।” যদিও কৃষ্ণধনবাবু মানবিক ভাতা পান। তবে তাতে সংসার চালানো বেশ মুশকিলের। তবে পরিবারের আশা, সরকার যদি এগিয়ে আসে তাহলে আর্থিক সঙ্কট কিছুটা হলেও দূর হবে।
বুধবার ছিল বিশ্বকর্মা পুজো। তাই এদিন দৃষ্টিহীন হয়েও অবিচল কারিগর কৃষ্ণধন সরকারকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা শান্তিপুরবাসী। আর জানাবে নাই বা কেন? এ যেন সত্যিই নদীয়ার শান্তিপুরর বুকে জীবন্ত বিশ্বকর্মা। সেই ব্যক্তির নাম কৃষ্ণধন সরকার।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন, ফের একবার আলোচনায় উঠে এলেন নদীয়ার শান্তিপুরের বাথানগাছি গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণধন সরকার। অনেক বছর আগে চোখের দৃষ্টি হারান তিনি। কিন্তু মনের জোর এবং ইচ্ছার জোরে একেবারেই থেমে যাননি তিনি।
হাতের স্পর্শ এবং অভিজ্ঞতার জোরে আজও সাইকেল, টলি ভ্যান কিংবা রিক্সা দেখলেই বুঝে যান। পাশাপাশি অবলীলায় সারিয়ে ফেলতে পারেন সেগুলি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।