কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত দেশরাজ। তাঁর উত্তরপ্রদেশর যাওয়ার কথা ছিল। সেইসমত টিকিটও কেটে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু সেই ট্রেনে ওঠেনি দেশরাজ। যদিও সে তার বাবাকে ফোন করে জানিয়েছিল ট্রেনে উঠেছে। কিন্তু তারপর থেকে পুরোপুরি বেপাত্তা দেশরাজ। কোথায় গেল দেশরাজ? প্রশ্ন তদন্তকারীদের।
25
কৃষ্ণনগর খুন
২৫ অগস্ট সোমবার কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা পড়ুয়া ঈশিতা মল্লিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের অভিযোগ রয়েছে দেশরাজের বিরুদ্ধে। বন্দুক নিয়ে দেশরাজ নিহত ঈশিতার মা ও ভাইকেও ভয় দেখায় বলে অভিযোগ। দেশরাজের উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায়। স্থানীয়দের কথায় ঈশিতা ও দেশরাজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ইদানিং দূরত্ব বাড়ছিল।
35
খুনের কারণ
কী কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সবথেকে সন্দেহ হচ্ছে খুনের পরেও কেন দেশরাজ ঈশিতার বাড়িতে বন্দুক নিয়ে অপেক্ষা করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দেশরাজ ইশিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু ঈশিতার মা এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে কথা বলতে চাননি। কী বলতে চেয়েছিল দেশরাজ? জানতে চাইছে পলিশ।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও পুলিশ ঈশিতার বাড়িতে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে ঈশিতার চুলের ক্লিপ, চপ্পল ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান সেভেন এমএম পিস্তল দিয়ে ঈশিতাকে খুন করেছে দেশরাজ। তদন্তকারীদের প্রশ্ন কোথা থেকে পেল এই পিস্তল। দেশরাজের বাবা বিএসএফ কর্মী।
55
যে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ
কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডে ৫টি প্রশ্নের উত্তর পেলেই রহস্যের জট খুলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্নগুলি হল
ঈশিতার মাকে কী বলতে চেয়েছিল দেশরাজ?
পিস্তল কোথা থেকে পেল?
দেশরাজ এখন কোথায়?
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে দেশরাজ ঈশিতাকে খুনের পর কয়েকজনের কাছে হোটাসঅ্যাপ কল করে আশ্রয় চেয়েছিল। কিন্তু কেউ রাজি হয়নি। পকেটে ট্রেনের টিকিট নিয়ে কেন আশ্রয় চেয়েছিল?
খুনের পরেও কে দেশরাজ ঈশিতার বাড়িতে অপেক্ষা করেছিল?