Krishnanagar murder: কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গেল চার দিন। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে দেশরাজকে।
কৃষ্ণনগর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়়। তদন্তকারীদের অনুমান, ঈশিতা মল্লিককে পরিকল্পনা করেই খুন করেছিল দেশরাজ সিং। ঈশিতার মা ও ভাইকেও খুন করার পরিকল্পনা ছিল বলেও মনে করছে তদন্তরারীরা। তবে পিস্তল কোনও কারণে লক হয়ে গিয়েছিল। সেই জন্যই প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ঈশিতার মা ও ভাই।
25
পিস্তলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়
দেশরাজ সিং যে পরিকল্পনা করে খুন করেছে তার প্রমাণ হল সোশ্যাল মিডিয়ায় পিস্তলের ছবি। একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুরে একটি পিস্তলের ছবি শেয়ার করেছিল দেশরাজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল 'ডেডবডি সুন'। তাতেই তদন্তকারীদের অনুমান রীতিমত ছক কষে পরিকল্পনা করেই ঈশিতাকে খুন করেছিল দেশরাজ।
35
পিস্তল এল কোথা থেকে?
প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীদের অনুমান উত্তর প্রদেশ থেকেই পিস্তল পেয়েছিল দেশরাজ। যতদূর সম্ভব দেশরাজের খুড়তুতো ভাই পিস্তলটি দিয়েছিল। দেশরাজরা মূলত উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে দেশরাজরা এই রাজ্যে থাকত। দেশরাজ ও তার খুড়়তুতো ভাইকে গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর পুলিশের তিনটি দল উত্তর প্রদেশ পৌঁছেছে।
ঈশিতা খুনের পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময়। চার দিন পার হতে চলল। ইতিমধ্যেই ঈশিতার পারলৌকিক ক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত দেশরাজ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান উত্তর প্রদেশেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে দেশরাজ। তবে প্রশ্ন কে বা কারা এখনও দেশরাজদের আত্মগোপনে সাহায্য করছে। যদিও দেশরাজের বাবা বিএসএফ কর্মী জানিয়েছেন, আইন আইনের মত চলবে।
55
খুনের কারণ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দেশরাজ ও ঈশিতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন ঈশিতা। তিনি কয়েক মাস ধরেই দেশরাজের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করে দিয়েছিলেন দেশরাজকে। সেই আক্রোশ থেকেই ঈশিতাকে গুলি করে হত্যা করেছিল দেশরাজ।