Kunal Ghosh CV Ananda Bose: মুর্শিদাবাদ সফর থেকে ফিরেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সেই রিপোর্টে তিনি সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদের কথাও আলাদাভাবে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের সেই অনুচ্ছেদেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বিস্তারিতভাবে বলা রয়েছে। এবার সেই রিপোর্টকে (report) কেন্দ্র করে কার্যত, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু কী রয়েছে সেই রিপোর্টে (murshidabad violence fact check)?
সূত্র মারফৎ জানা গেছে, কেন্দ্রকে পাঠানো সেই বিশেষ রিপোর্টে মূলত তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন বোস। এমনকি, সেই বিষয়গুলি নিয়ে বিবেচনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। প্রথমত, যখন কোনও রাজ্যের শাসনব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন সেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে (murshidabad violence)।
সেইসঙ্গে, একটি অনুসন্ধান কমিশনকেও নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর যে জেলাগুলিকে নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা বিএসএফ-কে নিজেদের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় আরও বেশি সংখ্যায় সীমান্তচৌকি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন রাজ্যপাল (murshidabad incident)।
আর সেই রিপোর্টকে কেন্দ্র করেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh)। নিজের এক্স-হ্যান্ডলে রবিবার বিকেলে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ঠিক কী বলেছেন তিনি (kunal ghosh twitter)?
কুণাল ঘোষের কথায়, “রাজ্যপাল যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তিনি তাঁর পলিটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্টজনিত কারণে রিপোর্টটা দিয়েছেন। প্রথম কথা তিনি জানেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ, ‘এই অবনতি’, ‘যদি হয়’, এই কথাগুলো আসেনা। দুই, রাজ্যপাল এটাও জানেন যে, ঐ সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তকে শান্ত রাখার দায়িত্ব তাদের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের, বিএসএফ-এর। যদি ওপাশ থেকে এপাশে হামলাকারীরা ঢুকে উস্কানি দেয় বা অনুপ্রবেশকারী ঢোকে, এই দায়িত্ব বিএসএফ-এর। যেটা দেখেন অমিত শাহ। ফলে, রাজ্যপালের সুপারিশে থাকা উচিত ছিল যে, বিএসএফ-কে! যারা নিজেদের দায়িত্ব সীমান্তরেখা থেকে ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার করে নিয়েছে! তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, “সেই সুপারিশের বদলে তিনি বাংলাকে একটু ইঙ্গিতপূর্ণ, কলুষিত, একটু বিজপিকে খুশি করার মতো একটা সুপারিশের ইঙ্গিত ‘যদি’-‘কিন্তু’ এইসব লাগিয়ে তিনি যেটা করেছেন, এটা একটা রাজনৈতিক পত্র। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লেখা।"
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।