‘গীতায় হাত দিয়ে বলতে পারি…’, পার্থ-মানিকের সঙ্গে লেনদেনের বিষয়ে মুখ খুললেন কুন্তল ঘোষ। ‘এতও সম্পত্তি’ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কী বললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা?
‘মা-মাটি মানুষের কাছে এবং দলের কাছে আপনারা আমার যে ইমেজ তৈরি করেছেন সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক’, আদালতের বাইরে এবার সরাসরি সাংবাদিকদেরই বিঁধলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি বন্দি রয়েছেন বিশাল বড় দুর্নীতির অভিযোগে, তাঁর যোগসূত্র ধরে গ্রেফতার হয়েছেন আরেক তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু, কুন্তল ঘোষ নিজেকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে সংবাদমাধ্যমের সামনে বদ্ধপরিকর। বৃহস্পতিবার কথা বলার সময় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উসকে দিয়ে গেলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের মন্তব্যে উঠে এল কামদুনি-কাণ্ডের প্রতিবাদী মৌসুমি কয়ালের নাম। এই মৌসুমি কয়ালকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের অনশনমঞ্চেও প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। তিনিই নাকি তাপস মণ্ডলকে চাকরি বিক্রি করতে সহায়তা করতেন, এমনই জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘তাপসের অফিসে অনেক মহিলা কাজ করতেন। তাঁদের সঙ্গে লেনদেন নিশ্চয়ই হয়েছে। আমি যেটুকু জানতাম, মৌসুমি কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট।’ সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে একসময়ে চাকরি করতেন মৌসুমী কয়াল। দীন দয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের কর্মী ছিলেন তিনি। যদিও, তারপর তিনি জানিয়েছিলেন্ন যে, কাজ করার পরেও তাঁকে মাইনে দেওয়া হয়নি বলে তিনি ওই চাকরি ছেড়ে দেন।
বৃহস্পতিবার মৌসুমির নামোল্লেখ ছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও মুখ খুলেছেন কুন্তল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গীতায় হাত দিয়ে বলতে পারি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই’। এরপরেও তাঁর গলায় আক্ষেপ শোনা যায় মিডিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আপনারা এতও সূত্র মারফৎ আমার এত সম্পত্তি দেখালেন, শেষমেশ এসে আপনাদের সেই অভিযোগগুলি কিন্তু ভিত্তিহীন হয়ে গেল। এর ফলে আমার ক্ষতি হল। আমার পরিবারের ক্ষতি হল। আমি আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলের মাইনে পর্যন্ত দিতে পারছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, ইডি আমার সম্পর্কে চার্জশিটে যে সম্পত্তির তালিকা দেখিয়েছে, সেটাতে প্রায় কিছুই নেই। একটা রাস্তার লোকের যেমন থাকে, আমারও তেমনই রয়েছে।’
আরও পড়ুন-
লক্ষ্মীবারেও সহায় হল না অনুব্রত মণ্ডলের জামিন-ভাগ্য, দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল শুনানির দিন
পরিচিত কৌশল পালটাচ্ছে ‘জামতাড়া গ্যাং’, এখন ‘ভুল করে টাকা পাঠিয়ে’ পাতা হচ্ছে নয়া প্রতারণার ফাঁদ