সংক্ষিপ্ত

আইনজীবীর আশা ছিল, বৃহস্পতিবারের জামিনের মামলায় আদালতের রায় যেতে পারে অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষেই। সেই অনুযায়ী সব প্রস্তুত থাকলেও হঠাৎ পিছিয়ে গেল শুনানির দিন।

বুধবার থেকেই তিহাড় জেলে আশায় ছিলেন কেষ্ট, তাঁর আইনজীবী আশ্বাস দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার জামিনের মামলায় আদালতের রায় যেতে পারে তাঁর পক্ষেই। এর স্বপক্ষে যথাযথ যুক্তিও তৈরি ছিল আইনজীবীর কাছে। কিন্তু, সে গুড়ে বালি। লক্ষ্মীবারেও অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্য সহায় হল না। দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল শুনানির দিন।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ছিল অনুব্রত মণ্ডলের জামিন আবেদনের শুনানি। কিন্তু, বিচারপতি রয়েছেন ছুটিতে। তাই এদিন শুনানি দেওয়া হয়নি। ইডি এবং অনুব্রত উভয়পক্ষের আইনজীবীর সম্মতিতে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৯ মার্চ। তবে, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।

এর আগে গত ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, সেদিনও তাঁর জামিনের কোনও শুনানি দেওয়া হয়নি। তারপর ২৩ মার্চ আবার ঘটল অঘটন। ফলে, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনুব্রতকে যে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে, সেবিষয়ে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। কারণ, একে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তার ওপর তিহাড় জেলে তাঁর পছন্দমতো ভালো ভালো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। বরাবরই তিনি মশলা দেওয়া বাঙালি খাবারদাবার পছন্দ করেন, একেবারে শেষ পর্যন্ত ED হেফাজত অবধি তাঁর পাতে আলুপোস্তও পড়েছিল, কিন্তু, তিহাড় জেলে অবস্থা সংকটজনক। অনুব্রতর পাতে দেওয়া হচ্ছে রুটি, অথবা মোটা চালের ভাত। সেই খেয়ে কীভাবে তিনি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেলের অন্দরে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ সহ্য করবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত রয়েছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

আরও পড়ুন-
কোন কোন যুক্তিতে জামিন পেতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল? 

পরিচিত কৌশল পালটাচ্ছে ‘জামতাড়া গ্যাং’, এখন ‘ভুল করে টাকা পাঠিয়ে’ পাতা হচ্ছে নয়া প্রতারণার ফাঁদ
গলায় উত্তরীয়, কপালে টিকা, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সসম্মানে তুলে দেওয়া হল জগন্নাথের মূর্তিও

চৈত্র মাসে ঘরে অবশ্যই মেনে চলতে হয় কিছু বাস্তু নিয়ম, ভুল করলেই ঘনিয়ে আসবে মারাত্মক বিপদ