রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। অন্যটি হল বার্ধক্যভাতা। এইগুলি থেকে প্রচুর মানুষ উপকৃত হন। কিন্তু সেখানেও কারচুপি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠছে।
210
সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা তছরুপ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারই তদন্তে নেমে প্রশাসনের হাতে এল অবাক করার মত তথ্য। যার দায় মূলত সিস্টেমেরই।
310
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ও পুর প্রশাসনের অনুমান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা তছরুপের জন্য দায়ী সক্রিয় একটি চক্র। যাতে যুক্ত রয়েছে পুরসভার কর্মী-সহ অফিসাররাও।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার ৫ নম্বর বোরোর কর্মী উমেশ দাসকে।
510
উমেশকে জেরা করেই পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রের খবর, অ্যাকাউন্ট নম্বর খোদ সার্ভারে বদলে দিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
610
পুলিশ জানতে পেরেছে, বহু অ্যাকাউন্ট নম্বরই মূল সার্ভারেই বদলে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ফোন নম্বরও বদল করা হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর একাধিক তদন্ত।
710
পুলিশ যা জানতে পেরেছে তা হল, গ্রাহক বা বেনিফিশিয়ারির জায়গায় দাদা বা দিদি সম্বোধন করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামও লেখা হয়েছে।
810
একটি মোবাইল নম্বরে একাধিক আধার নম্বর দেখিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তাতে সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের।
910
পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় উমেশ জানিয়েছে, কলকাতার একাধিক থানা এলাকায় ১০০র বেশি অ্যাকাউন্টে কারচুপি করেছে সে। ধৃতের কাছে ১০টি ডেবিট কার্ড রয়েছে। যা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
1010
পুলিশের অনুমান একাধিক মানুষ এই কারচুপির সঙ্গে যুক্ত। বছর দুয়েক আগেও এমনই একটি চক্র সক্রিয় হয়েছিল। সেটি নিষ্ক্রীয় করেছিল পুলিশ। এবারও কঠোর পদক্ষেপ করছে কলকাতা পুলিশ।