- Home
- India News
- আধার কার্ড নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সংসদীয় কমিটিতে, মৃত্যুর পরেও সক্রিয় কোটি কোটি মানুষের আধার
আধার কার্ড নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সংসদীয় কমিটিতে, মৃত্যুর পরেও সক্রিয় কোটি কোটি মানুষের আধার
আধার কার্ডের সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ। কখনই জীবিত মানুষের কার্ড নিষ্ক্রীয় হয়ে যাচ্ছে। কখনও আবার মৃত মানুষের কার্ড চালু হয়েছে। তাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

আধার কার্ডের সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ। কখনই জীবিত মানুষের কার্ড নিষ্ক্রীয় হয়ে যাচ্ছে। কখনও আবার মৃত মানুষের কার্ড চালু হয়েছে। তাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আধার কার্ড এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ছাড়া অচল যে কোনও সরকারি কাজ। বর্তমানে বেসরকারি কাজেও প্রয়োজনীয় হয় এটি।
আধার কার্ডের এই সমস্যা নিয়ে পাবিকল অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠক চলছে। পিএসিতে প্রয়োজনীয় অভিযোগ জানাতে তলব করা হয়েছিল ইউআইডিএআই বা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রধান ভূপেশ কুমার -সহ সংস্থার একাধিক কর্তাকে।
UIDAI-র কর্তাদের উপস্থিতিতেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। যা শুনে মাথায় হাত পড়েছে পিএসির সদস্যদের।
আধার কার্ডে কখনও দেখাযায় চোখেন মণি মিলছে না কখনও হাতের ছাপ নিয়ে সমস্যা হয়। নিত্যনতুন সমস্যায় জেরবার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু কেন এই সমস্যা তা খতিয়ে দেখতে বসেছিল পিএসির বৈঠক। সেখানেই সামনে এল বিস্ফরণ তথ্য।
UIDAI-র প্রধান যা জানিয়েছেন তা হল, বিগত ১৪ বছরে দেশে ১১ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আধার কার্ড নিষ্ক্রীয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি। অর্থাৎ সক্রিয় রয়েছে ১৩ কোটি কার্ড। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
UIDA জানিয়েছে, জীবিত থাকাকালীনই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে অনেকের আধার নম্বর। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যাবতীয় নাগরিক পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ।
সাধারণত, কেউ মারা গেলে তাঁদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করে দেওয়াই রীতি। তাহলে কীভাবে মৃতদের তালিকায় থেকে যাচ্ছে জীবিত ব্যক্তিদের নাম?
কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত্যুপঞ্জীতে নাম থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ‘মৃত’ ধরে নেওয়া হয়। সেইমতোই নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে আধার। কিন্তু তাতেও ভুল থেকে যাচ্ছে। দপ্তরের এক কর্তার কথায়, মৃতদেহ সৎকারের আগে যে প্রশাসনিক কাজ সারতে হয়, সেখানে আধার সংক্রান্ত তথ্য জমা করা বাধ্যতামূলক। অনেকেই সেখানে মৃত ব্যক্তির বদলে কোনও জীবিত ব্যক্তির আধার সংক্রান্ত তথ্য জমা করেন।
সেই তথ্য যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি। ফলে মৃত্যু সংক্রান্ত নথিভুক্ত তথ্যে জীবিত ব্যক্তির আধার নম্বর বসে যায়। ফলে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রশাসনিক পদে থাকা কোনও না কোনও ব্যক্তির গাফিলতির কারণেই এই ভুল হচ্ছে। এভাবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার আবার সক্রিয় করা যথেষ্ট কঠিন। সেই কাজটি যাতে সরলভাবে করা যায়, তারই নির্দেশিকা জারি করেছে আধার কর্তৃপক্ষ।
পরিবারের কারও মৃত্যু হলে সেকথা জানানোর জন্য ‘মাইআধার’ পোর্টালে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি এই সমস্যায় পড়েন, তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইউআইডিএআইয়ের অফিসে বা তার আঞ্চলিক অফিসে আবেদন করতে পারেন।

