সন্দেশখালি কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ তিনি। তবে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর থেকেই তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার।
দিন আনি দিন খাই অবস্থা। কাদাময় উঠোনে ভাঙা দরমার বেড়া। সংসারে অভাবে ছাপ সুস্পষ্ট। এটাই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের বাড়ি। রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সন্দেশখালির একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা, বিজেপির রেখা পাত্র। সন্দেশখালি কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ তিনি। তবে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর থেকেই তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। এমনই অভিযোগ তাঁর।
যদিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা অচ্যুতানন্দ নস্কর পাল্টা দাবি করেছন, ‘কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কারোর বন্ধ করা হয়নি। মিথ্যে বলছেন তিনি।’
এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে রেখা পাত্রের জা সাগরী পাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আগে পেতাম। এখন কয়েক মাস আর পাই না। আমরা আন্দোলন করেছিলাম বলে দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’ এছাড়া স্থানীয় মহিলারা জানিয়েছেন, ‘আমরা দিদির দলই করতাম। কিন্তু এই অত্যাচারের জন্য আমরা প্রতিবাদের রাস্তায় যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। পিঠে বানাতে ডাকবে। ফোন করে ডাকবে। অত্যাচার করবে। না মানলেই মিথ্যে মামলা। এসব কতদিন সহ্য করব?’
তাঁর কাছেই ফোন এসেছিল খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু বিজেপির অন্যান্য প্রার্থীদের হলফনামা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হলেও বিজেপির এই নিতান্ত গৃহবধূ সদস্যের দিন গুজরান হয় কষ্ট করেই। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভয় পাননি তিনি। তাঁর জয়ের আশাতেই তাই বুক বেঁধেছে প্রতিবাদী সন্দেশখালি, আন্দোলনকারীদের সন্দেশখালি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।