ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস ঘেরা চাঁচলের কালীপুজো, শক্তিদেবীর আরাধনায় মাতেন পুলিশ কর্মীরাও

Published : Oct 21, 2025, 08:40 AM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Special Kali Puja: ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছিল পুজো। শাসনভার চুকে গেলেও এখনও রীতি অনুযায়ী চলে আসছে শ্যামা মায়ের আরাধনা।  বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Special Kali Puja: দীপবলীতে রোশনায় রঙিন হয়েছে গোটা চাঁচল এলাকা। কিন্তু আইনের রক্ষকদের কাছে আলোর উৎসবের আনন্দটা যেন একটু বেশিই হয়। কারণ থানায় থানায় কালীপুজোর রেওয়াজ রয়েছে। তবে মালদহের চাঁচল থানার কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন খরবা থানায় শুরু হয়েছিল কালীপুজো। পরে খরবা থেকে ১৯৭২ সালে থানা স্থান্তারিত হয়েছে ১০ কিমি অদূরে চাঁচলে। খরবায় এখন রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।

চাঁচলের কালীপুজোর অজানা ইতিহাস:- 

সেখানে ভক্তিনিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের আরাধনা করা হয়। ফাঁড়ি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। সেখানে পুজো হওয়ার পর থানা সংলগ্ন মন্দিরে আনা হয় ফুল ও মাটি। চাঁচল থানা সংলগ্ন মন্দিরের কালী পুজোয় জড়িয়ে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস। এবার সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল জ্যান্ত কালীকে! 

পাশাপাশি চাঁচল থানাতেও মাতৃ মন্দির গড়ে তোলা হয়েছে। কষ্টি পাথরের কালীমাতার মূর্তিতে পুজো অর্চনা শুরু হয়েছে দ্বীপান্বিতার অমাবস্যা তিথিতে। তবে এখানে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথমে খরবা ফাঁড়িতে মাতৃ আরাধনা শুরু হয় অমাবস্যার সন্ধ্যায় ।সেখানে পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর ফুল মাটি নিয়ে আনা হয় চাঁচল থানা সংলগ্নে মাতৃ মন্দিরে। তারপরেই শুরু হয় পুজো। থানা সরে আসার পর থেকেই এই রীতি চলে আসছে বলে জানা গিয়েছে। 

কথিত রয়েছে, ১৯৭২ সালে খরবা থেকে চাঁচল থানা সরিয়ে আনার পাশাপাশি মাতৃ প্রতিমাও চাঁচলের আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু মায়ের কাঠামো যে গাড়িতে আনা হচ্ছিল, সেই গাড়ির আর সরেনি। টায়ার পামচারও হয়। কোনমতেই আনা সম্ভব হয়নি। সেই থেকেই ফাঁড়ির পাশাপাশি থানাতেও পুজোর প্রচলন শুরু হয়। চাঁচল থানায় মাতৃ আরাধনার সমস্ত বিষয়টাই সামলান চাঁচল থানা আবাসন মহিলা পুজো কমিটি। প্রচুর মহিলা ডালা নিবেদন করতে ভিড় জমান থানা সংলগ্ন মাতৃ মন্দিরে।

পুজা অনুষ্ঠান সহ সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন তারা। মা এখানে জাগ্রত। আগে পশুবলি প্রথা থাকলেও এখন তা নেই। শাস্ত্রবিধি মেনেই শক্তিদেবীর আরাধনা হয়। এদিন সন্ধ্যায় মায়ের মন্দিরে এলাকার মহিলারা পুজো দিতে আসেন ও ডালা নিবেদন করেন। এদিন অমাবস্যার সন্ধ্যায় সেই মন্দিরে জ্যান্ত কালীকেও ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এক পুলিশ কর্মীর ছোট্ট কন্যা আদ্রিকা দাস জ্যান্ত কালীর বেশ নিয়ে নজর কাড়ে এদিন। তাকে ঘিরে সেলফিতে মাতেন দর্শনার্থীরা। সব মিলিয়ে  দীপান্বিতা  অমাবস্যায় জমজমাট মুর্শিদাবাদের চাঁচল থানার পুজো। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Humayun Kabir: বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিলেন হুমায়ুন! দেখুন কী বলছেন
অবশেষে বাবরি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হুমায়ুনের, কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর?