স্বপ্নাদেশ পেয়েই শুরু হয়েছিল কালীপুজো, এক ক্লিকে জানুন করুণাময়ী কালীপুজোর ইতিহাস

Published : Oct 18, 2025, 02:39 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Kali Puja 2025: মা কালীর স্বপ্নাদেশেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অপঘাতে মৃত্যু ১০৮ টি নর মুণ্ডের মাথা জোগাড় করেন তিনি। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Kali Puja 2025: মন্দিরবাজার শতাধিক বছর পূর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার থানার দক্ষিণ বিষ্ণুপুরে শ্মশান লাগোয়া জঙ্গলের মধ্যে মা কালীর মন্দির স্থাপন করে করুণাময়ী মায়ের পূজা শুরু করেছিলেন এলাকার প্রখ্যাত তান্ত্রিক ফণীভূষণ চক্রবর্তী। 

মায়ের সাধক ফণীভূষণ চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পেয়েই মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পূজা শুরু করেন। মা কালীর স্বপ্নাদেশেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অপঘাতে মৃত্যু ১০৮ টি নর মুণ্ডের মাথা জোগাড় করেন তিনি। যা মায়ের মূর্তির চারিদিকে সাজিয়ে রেখেই মায়ের আরাধনা শুরু করেন ফণীভূষণ। পাশাপাশি পঞ্চমুন্ড দিয়ে তৈরি আসনে বসেই মায়ের পূজা অর্চনা করতেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি ফণীভূষণ বাবু অনেক বড় তান্ত্রিক ছিলেন, সরাসরি মা করুণাময়ীর কথা শুনতে পেতেন তিনি।

মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতি অমাবস্যায় মায়ের পূজা হত বড় জাঁকজমক পূর্ণভাবে। সেই পুজোতে পাঁঠা বলি ও দেওয়া হতো। কিন্তু একদিন মায়ের সাধক তান্ত্রিক ফনিভূষণ চক্রবর্তী স্বপ্নাদেশ পান মা করুণাময়ী আর বলি চাইছেন না। সেই কারণে বন্ধ হয় এই মন্দিরে বলি প্রথা। 

তবে পুজোতে প্রয়োজনীয় রক্তের জন্য বলির জন্য আনা পশুর কানের পাশ থেকে একটু রক্ত নেওয়া হতো। এই ভাবেই বছরের পর বছর ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দির বাজার থানার দক্ষিণ বিষ্ণুপুর এলাকায় এই মা করুনাময়ীর পূজা হয়ে আসছে। বর্তমানে ফণীভূষণ চক্রবর্তীর ভাইপো শ্যামল চক্রবর্তী নিজেই দায়িত্ব নিয়ে মায়ের পূজা অর্চনা করেন। তবে এখন আর প্রতি অমাবস্যায় বড় করে মায়ের পূজা না হলেও বিশেষ বিশেষ তিথিতে মায়ের পূজা হয় ধুমধাম করে।

প্রতি অমাবস্যা তিথিতে এই মন্দিরে এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তান্ত্রিকরা আসেন তন্ত্র সাধনা করতে। আমাবস্যার রাতটা কাটিয়ে পরদিন ভোরেই চলে যান তারা। শ্মশান ও মন্দির লাগোয়া বটগাছের তলায় বসে চলে তন্ত্র সাধনা। শ্মশান পেরিয়ে মন্দিরে যেতে হয় বেশ কিছুটা জঙ্গল পথ পেরিয়ে, যেখানে এখনো গা ছমছমে পরিবেশ রয়েছে।

এলাকার মানুষের মতে দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের এই কালী মন্দিরের মা করুণাময়ী অত্যন্ত জাগ্রত। ভক্তিভরে মাকে ডাকলে মা সারা দেন। মায়ের কাছে ভক্তিভরে যাই চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায় বলে দাবী সাধারণ মানুষের। মা করুণাময়ী সকলের আসা আকাঙ্খা পূরণ করেন। তাই প্রতিদিন এই মায়ের মন্দিরে নামে ভক্তদের ঢল। 

মায়ের কাছে মানত করে ঢিল বাঁধলে ও ভক্তি ভরে মা কে ডাকলে কেউ খালী হাতে ফেরে বলে ও জানান এলাকার মানুষজন। এই মন্দির লাগোয়া রয়েছে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশান। সেই শ্মশান ও খুবই জাগ্রত বলে দাবী করেন এলাকার মানুষজন। তাদের দাবী প্রতিদিন এই শ্মশানে শব আসা চাই, নাহলে শ্মশানের কয়লা আপনি আপনিই জ্বলে ওঠে। একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। আদি গঙ্গার তীরে এই শ্মশান ও মা করুণাময়ীর মন্দির ভক্তবৃন্দের কাছে অত্যন্ত পুন্যস্থান বলেই বিদিত হয়ে রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

'বাবরি মসজিদ তৈরি হবেই, হবেই, হবেই', ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বাজেট ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের
'মমতা আগুন নিয়ে খেলছেন', হুমায়ুনকে দিয়ে মরুকরণের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ বিজেপির