কলকাতার আকাশ থেকে এবার দেখা যাবে জোড়়া ধূমকেতু। তবে শুধু কলকাতা নয়, গোটা বাংলার আকাশ থেকেই দেখা যাবে এই বিরত আর মহাজগতিক দৃশ্য। তারজন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হয়ে যান।
কলকাতার আকাশ থেকে এবার দেখা যাবে জোড়়া ধূমকেতু। তবে শুধু কলকাতা নয়, গোটা বাংলার আকাশ থেকেই দেখা যাবে এই বিরত আর মহাজগতিক দৃশ্য। তারজন্য এখন থেকেই প্রস্তুত হয়ে যান। কালীপুজোর পরের দিনই এই মহাজাগতিক দৃশ্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে গোটা উত্তর গোলার্ধ থেকেই দেখা যাবে জোড়া ধূমকেতু।
25
ধূমকেতু দুটির নাম
একটির নাম লিমন অন্যটির নাম সোয়ান। কয়েক শো বছর পরেই জোড়া ধূমকেতু ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। বিজ্ঞানীদের কথায় লিমন নামের ধূমকেতু প্রবল গতিতে ছুটে আসছে। লিমনের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কিলোমিটার। এটি ৯ কোটি কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসছে।
35
কালীপুজোর পরের দিন দেখা যাবে
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ ২১ অক্টোবর মঙ্গলাবর সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই রাতের আকাশে দেখা যাবে জোড়া ধূমকেতু। সেই সময়েই জোড়া ধূমকেতু পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসবে। জানুয়ারি থেকেই বিজ্ঞানীরা লমনকে দেখেছেন। সোয়াম অনেক পরে দেখা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন জো়ড়া ধূমকেতুককে এর আগে ১৩৫০ বছর আগে দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয়বার দেখা যাবে ২১ অক্টোবর। লিমনকে খালি চোখে দেখা যাবে। তবে লিমনের তুলনায় উজ্জ্বল সোয়ামকে দেখা যাবে দূরবীন দিয়ে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় লিমন দিগন্ত রেখার ৪০ ডিগ্রি ওপরে থাকবে। পরে সেটি ৫০ ডিগ্রি ওপরে দেখা যাবে।
55
নাম পরিচয়
এই লিমন এবং সোয়ান দু’টিই আমাদের সৌরজগতের। কিন্তু পৃথিবী থেকে তারা এতটাই দূরে রয়েছে, যে তার কাছে আসছে শত শত বছর সময় লাগছে। এই দুই ধূমকেতুই উর্ট ক্লাউডের বাসিন্দা। প্লুটোর ওপারে সেই সেই উর্ট ক্লাউড। কোটি কোটি বছর আগে যখন সৌরজগৎ তৈরি হয়েছিল, তখন তা থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসে তৈরি হয় ধূমকেতু। মূলত বরফ এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি। তার পরে সূর্যের চারপাশে যখন ঘোরে, তখন তার উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। তৈরি হয় লেজ।