স্পষ্ট ইঙ্গিত না দিলেও কথার মারপ্যাঁচে বুঝিয়ে দিলেন চক্রান্ত আর রাজনীতি হয়েছে তাঁর সঙ্গে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি।”
ভোটের কিছুদিন আগে যখন কেন্দ্র পরিবর্তন করে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয় তাঁকে, তখনও তিনি টু শব্দটিও করেন নি। বরং নিজের সর্বস্ব দিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ও আচমকাই তাকে প্রচারের কাজে আন্দামানে পাঠিয়ে দেয় দল। তখনও চুপচাপ নিজের কাজ করে গিয়েছেন তিনি। তিনি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটে হারের পর এবার মুখ খুললেন এই বিজেপি নেতা।
স্পষ্ট ইঙ্গিত না দিলেও কথার মারপ্যাঁচে বুঝিয়ে দিলেন চক্রান্ত আর রাজনীতি হয়েছে তাঁর সঙ্গে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,”কালাপানি কাকে বলে আমি জানি। চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি।” বিস্ফোরক মন্তব্য করে দিলীপবাবু বলেন, ‘সবকিছুর পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।”
দিলীপ এও বললেন, 'দলের পলিসির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যারা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।' প্রসঙ্গত বিজেপির বঙ্গ রাজনীতির একজন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কর্মী দিলীপ ঘোষ। কোনো দল পরিবর্তন নয়, দলের বিরুদ্ধেও কখনও কথা বলতে দেখা যায়নি তাকে। এমনকী তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও বিরোধী হিসেবে তিনি স্পষ্ট মুখ।
বিজেপি নেতার কথায়, “দল আমাকে যখন যা বলেছে করেছি। সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। কোনো ক্ষেত্রে ফাঁক রাখিনি। এবার বর্ধমানে হেরে যাওয়া কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনে নিয়েছেন একটা জায়গায় অন্ততঃ লড়াই হয়েছে।”
তবে কি দলের কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্তের জন্যই পরাজিত হতে হল দিলীপকে? উঠছে প্রশ্ন। লড়াই শেষে দিলীপ বললেন, “কিছুই অসম্ভব না। সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।