এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র সেনাপতি ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারলেন না।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সম্মানের লড়াই ছিল। তবে কয়েকটি আসন শুভেন্দুর কাছে ব্যক্তিগত লড়াই ছিল। এর মধ্যে ছিল তমলুক, কাঁথি। এই দুই আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়ে আনলেন শুভেন্দু। তমলুকে জয় পেলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি ২৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেলেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন উত্তম বারিক। পটাশপুরের বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তমকে হারিয়ে দিলেন সৌমেন্দু। এর ফলে নিজের গড়ে শুভেন্দুর সম্মানরক্ষা হল।
অধিকারী গড়ে জয় সৌমেন্দুর
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরেই অধিকারী পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয় পান শুভেন্দু-সৌমেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। তিনি পরবর্তীকালে বিজেপি-তে যোগ দেন। সৌমেন্দুও বিজেপি-তে যোগ দেন। ফলে কাঁথি আসন তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল বিজেপি। শেষপর্যন্ত সেটাই হল। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে বিজেপি-র ফল ভালো না হলেও, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ আসনে জয় পেলেন বিজেপি প্রার্থীরা।
শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে বেশি আসনে জয় পেত, তাহলে শুভেন্দুর উত্থান হত। কিন্তু বিজেপি-র ফল ভালো না হওয়ায় মারাত্মক চাপে পড়ে গেলেন শুভেন্দু। দলেই তাঁকে এবার চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। ফল খারাপ হওয়ায় শুভেন্দুকে দায় নিতে হবে। এই ফলের পর বিজেপি-তে অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলায় বিজেপি কেন এভাবে হারল! উঠে আসছে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মত ৯টা কারণ
BJP News: রাজ্য বিজেপির বিপর্যয় থেকে দিলীপের পিছিয়ে পড়া, মুখ রক্ষাই দায় শুভেন্দু অধিকারীর