Tamluk: লোকসভা নির্বাচনের হটসিট তমলুক, দেবাংশু-অভিজিতের লড়াইয়ে ব্যাকফুটে সায়ন? দেখুন ছবিতে

২০১৪ সাল থেকেই অধিকারীদের খাস তালুক তমলুক। সিপিএম-এর লক্ষণ শেঠকে হারিয়ে সংসদে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। পরবর্তীকালে ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এই কেন্দ্রের সাংসদ হন। বর্তমানে দুজনেই ঘাসফুল ছেড়ে বড়ফুল অর্থাৎ পদ্মফুলে রয়েছেন। এই অবস্থায় ক্ষমতা পুনরায় দখল করা আর ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের লড়াই হবে তমলুকে- তেমনই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

শুভেন্দু ঘনিষ্ট হিসেবেই বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচিতি। প্রার্থী হিসেবে নাম বিজেপি ঘোষণা করার আগে থেকেই তাঁকে তমলুকের প্রার্থী করা হবে বলে জল্পনা তুঙ্গে ছিল রাজ্যরাজনীতিতে। তাঁর জয়ের ব্লুপ্রিন্ট যে শুভেন্দু তৈরি করছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। তৃণমূল সরকারের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। অগাস্টে অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও আগেই উচুঁ পদের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন অভিজিৎ। তৃণমূলের ঘোর বিরোধী। এই অবস্থায় শুভেন্দুকে পাশে নিয়েই জয়ের ভিত রচনা করছেন অভিজিৎ।

তলমুকেই ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছেন প্রাক্তন বিচারপতি। নতুন বাংলা গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের দুর্নীতিগুলিকেই তুলে ধরেছেন অভিজিৎ। বিচারপতি হিসেবে তুখড় হলেও রাজনীতিতে আনকোরা বলা যেতেই পারে।

ব্রিগেডের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তমলুকের প্রার্থী হিসেবে দেবাংশু ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করেছেন। যদিও রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত নাম দেবাংশু। খেলা হবে- স্লোগান তারই লেখা। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করায় কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়েছিলেন। তৃণমূলের আইটি সেলের প্রথম সারির নেতাও তিনি।

অদিকারীদের হাত থেকে তমলুকের দখল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে নেওয়াই দেবাংশুর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিপক্ষ স্বয়ং শুভেন্দু ঘনিষ্ট অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অধিকারীদের গড়ে বেশ শক্ত লড়াইয়ের সামনে দেবাংশু। যদিও তিনি নিজেকে দিদির দূত হিসেবেই তুলে ধরছেন।

তমলুক জু়ড়েই প্রচার শুরু করেছেন দেবাংশু। কথা বলছেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সভা সমিতি আর মিছিলও করছেন। উত্তরবঙ্গের ছেলে দেবাংশু। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের রুক্ষ রাজনীতিতে ধাতস্ত হতে কিছুটা হলেও সময় লাগছে তাঁর।

সিপিএমএর আইনজীবী প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তরুণ তুর্কি হিসেবেই পরিচিত রাজনীতিতে। কিন্তু দেবাংশু আর অভিজিতের তুলনায় প্রচারে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। যদিও কারণটা তাঁর ছন্ন ছাড়া দল।

আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রতিপক্ষ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেশাগত মিল থাকলেও রাজনীতির ক্ষেত্রে দুজনে দুই প্রান্তের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। লড়াই করতে পাঠান হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। কিন্তু ক্ষেত্রটা যথেষ্ট কঠিন।

১৯৮৪ সাল থেকে তমলুক কেন্দ্র বামেদের দখলে। মাত্র একবার ১৯৯৬-৯৮ সালে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের দখলে ছিল। তারপরের দুই বারের সাংসদ লক্ষণ শেঠ। তাই হারানো গড় আবারও দখল নেওয়ার স্বপ্ন সিপিএম দেখছে এই তরুণ তুর্কি নেতার মধ্যে দিয়ে।