লোকসভা ভোটে হারের এফেক্ট শুরু। কোচবিহারে বড়সড় ভাঙন এবার বিজেপিতে। দলে দলে যোগ তৃণমূলে।
লোকসভা ভোটে হারের এফেক্ট শুরু। কোচবিহারে বড়সড় ভাঙন এবার বিজেপিতে। দলে দলে যোগ তৃণমূলে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। বলা যেতে পারে, রাজ্যজুড়ে যেন সবুজ ঝড়। খুব স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়েই। বেশ কয়েকবছর ধরেই উত্তরবঙ্গে বিজেপি নিজেদের জমি বেশ শক্ত করেছিল। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল যেন অন্যকিছুরই ইঙ্গিত দিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক পরাজিত হয়েছেন। তাঁর গড়ে উড়েছে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা। আর এরপরই কোচবিহারের ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং আরও ৯ জন সদস্য বিজেপি ছাড়লেন। যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে, এই পঞ্চায়েতের দখল নিতে চলেছে তৃণমূল।
কোচবিহার কেন্দ্র থেকে ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া। তাঁর হাত থেকেই তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান দলত্যাগী বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের। তারা বলছেন, পঞ্চায়েতের উন্নতির জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভেটাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির উপপ্রধান সহ একাধিক বিজেপি কর্মী ফুল বদল করলেন। কয়েকদিন আগে যারা ছিলেন বিজেপি, তারাই হয়ে গেলেন তৃণমূল। যোগ দিয়েই জানালেন, তারা সবাই জনতার রায়ে নির্বাচিত। তাই মানুষ যে দিকে, তারাও সেদিকে। নতুন যোগদানকারী নেতৃত্বদের কথায়, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন, দিদির সঙ্গে আছেন। তাই তারাও সেদিকে।
নবনির্বাচিত সাংসদ বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়ত ওরা চলে গেছিলন। কিন্তু এখন ভুল বুঝতে পেরে তারা আবার ফিরে এসেছেন। আসলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভেটাগুড়ি এলাকায় সংগঠন তৈরি করে বিজেপি। এমনকি, বিজেপির প্রধান, উপ প্রধানদেরও নিগ্রহ করেছে ওরা। সেইসব কিছুকে সবাই সমর্থন করেনি। তাই অনেকে বিজেপি ছেড়ে দিয়ে আজ তৃণমূলে এসেছে বলে জানান তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।