ভোটে জিতেই বড়মা বীণাপাণিদেবীর ঘরের তালা খুললেন তৃণমূলের মধুপর্ণা ঠাকুর, ঘরে ফিরে পেলেন মমতা

Published : Jul 13, 2024, 06:37 PM IST
Madhuparna thakur won the Bagda assembly then unlocked Veenapanidevis room bsm

সংক্ষিপ্ত

বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাগদা থেকে এবার বিধায়ক হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মধুপর্ণা ঠাকুর 

এতদিনে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির বড়মা বীনাপাণি দেবীর মন্দিরের বন্ধ দরজা খুলে দেওয়া হল। বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতেই পদক্ষেপ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। তিনি তাঁর অনুগামীদের বিয়ে তালা ভেঙে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে ঢোকেন। এর আগে এই মন্দিরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ও ঠাকুর বাড়ির আরেক সদস্য শান্তনু ঠাকু।

বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাগদা থেকে এবার বিধায়ক হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মধুপর্ণা ঠাকুর। প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে। ২৫ বছরেই বাজিমাত করলেন মধুপর্ণা। ১৩ বছর পরে এই কেন্দ্র বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। মধুপর্ণা প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।

 

বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পকই বড়মার মন্দিরের তালা ভাঙেন মধুপর্ণা ঠাকুরের অনুগামী মতুয়ারা। যদিও মধুপর্ণার মা তথা প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশেই তারা তাঁদের ঘর ফিরে পেয়েছেন। গত ৭ এপ্রিল ঠাকুরবাড়িতে ‘বড়মা’র এই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মধুপর্ণার জ্যেঠতুতো দাদা শান্তনু ঠাকুর। তাঁর উপস্থিতিতেই মতুয়া ভক্তদের একাংশ ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে মমতাবালা এই নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হন।

২০১৯ সালের প্রয়াত হন বীণাপাণিদেবী। ঠাকুরবাড়ির যে ঘরে তিনি থাকতেন সেই ঘরই ৭ এপ্রিল দখল করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া অনুগামীদের পাশাপাশি পরিবারের আরও অনেক সদস্যরাও ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আগে বীণাপাণিদেবীর পাশের ঘরেই থাকতেন বৌমা মমতাবালা ঠাকুর। বীণাপাণিদেবীর মৃত্যুর পরে সেই বড়মার ঘরেই থাকতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু শান্তনু সেই ঘর বন্ধ করে দেওয়ার পরে মা ও মেয়ে ধর্ণাও দিয়েছিল। অনশনও করেছিল।

PREV
click me!

Recommended Stories

আবাসনে একাকী বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ, হুগলিতে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
SIR Bengal : কেউ লুকিয়েছিল কেষ্টপুর, কেউ চিনারপার্কে! SIR-এর গুঁতোয় বাংলাদেশে ফিরতে মরিয়া