
ভাইরাল হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নগ্ন ছবি। তারপর সোনারপুরের মামার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, তাঁর নগ্ন ছবি ভাইরাল হতে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর এলাকায়। সেখানে উদ্ধার হয় ছাত্রীর দেহ।
ঘটনার পরই অভিযোগ দায়ের হয়েছে সোনারপুর থানায়। পুলিশ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই শুরু করেছে তদন্ত। প্রয়াত ছাত্রীর মা জানিয়েছে, আসিফ খান নামে এলাকারই এক যুবক তাকে নিয়মিত উত্যক্ত করত। অভিযুক্ত আসিফ খান বিবাহিত। স্ত্রী আছে বাড়িতে। তারপরও সে মেয়েকে উত্যক্ত করত। তাঁর মেয়ের ছবি নিয়ে এআই দিয়ে নগ্ন ছবি বানায়। তা ভাইরাল করে বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই মানসিত অবসাদে ভুগছিল সে। স্কুলে যেতে চাইত না ওই ছাত্রী। সোনারপুর থানা এলাকায় মামার বাড়িতে থাকত ছাত্রীটি। গতকাল বাড়িতে সন্ধের দিকে কেউ ছিল না। স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে একাই ছিল সে। সে সময় আত্মহত্যা করে। ছাত্রীর মাসির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর আত্মঘাতী ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিবাহিত। সে প্রায়শই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত। এতে কোনও রকম সুবিধা করতে না পেয়ে এআই দিয়ে তার বিকৃত ছবি বানায়। সেই ছবি ভাইরাল করে দেয় আসিফ। ঘটনায় অমানিত হয় আত্মহত্যা করে এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এভাবে ফেক ছবির কারণে শেষ হয়ে গেল একটি প্রাণ। স্থানীয় এক যুবক এআই (AI) ব্যবহার করে তার নগ্ন ছবি বানিয়ে ভাইরাল করে দেয়, যার জেরে অপমানে আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।