মালদহের বামনগোলার পাকুয়াহাটে এক মহিলাকে পকেটমার সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অবশেষে শুক্রবার পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ।
মালদায় নারী নিগ্রহের ঘটনার ৯ দিন পর অবশেষে পদক্ষেপ নিল পুলিশ। মালদহের বামনগোলার পাকুয়াহাটে এক মহিলাকে পকেটমার সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অবশেষে শুক্রবার পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ। জানা যাচ্ছে ক্লোজ করা হয়েছে আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকারকে। উল্লেখ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে ছিল।
পাকুয়াহাটে চুরির অভিযোগে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কেন দুই নির্যাতিতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ সেবিষয় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। গত বুধবার ঘটনার পাঁচদিন পর পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। শুক্রবার এই চার পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়। চার জনের বিরুদ্ধেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে।
প্রসঙ্গত, মালদায় দুই মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা চমকে উঠেছে সকলে। নারীদের পোশাক খুলে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয় বলে জানা যাচ্ছে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার পাকুয়াহাট এলাকায়। প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও-এ দেখা যায় (এই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা) জনসাধারণ বাজারে পকেটমার সন্দেহে দুই নারীকে আটক করে লাঞ্ছিত করে। এবং তাদের জামাকাপড় খুলে জুতা দিয়ে আক্রমণ করতে দেখা যায়।
জানা যাচ্ছে, হামলাকারী দুই নারী মানিকচকের বাসিন্দা। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। এদিকে এত দিন প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েও পুলিশ কেন আসেনি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। উল্লেখ্য এর আগে মণিপুরে, যেখানে ২ জন উপজাতীয় মহিলাকে উলঙ্গ করে মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ঘটনাটি দেশকে ব্যাপক ধাক্কা দেয়। এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। দেশজুড়ে এর তীব্র বিরোধিতা চলছে। মহিলার অভিযোগ, হাওড়া জেলার পাঁচলা এলাকায় তৃণমূলের ৪০ জন সদস্য তাঁর ওপর হামলা চালায়। মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল দলের সদস্যরা তার জামাকাপড় ছিঁড়ে, তাকে নগ্ন করে এবং তাকে গ্রাম জুড়ে মিছিলে টেনে নিয়ে যায়। ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।